ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিএনপি

বৃহত্তর জোটে জামায়াত বিষয়ে এখনো তারা শর্ত দেয়নি আমাদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
বৃহত্তর জোটে জামায়াত বিষয়ে এখনো তারা শর্ত দেয়নি আমাদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: শাকিল আহমেদ

রাজনৈতিক পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে এখন চারদিকেই আলোচনা চলছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচন কমিশন বলছে, সামনের অক্টোবর মাসেই তফসিল ঘোষণা হতে পারে। বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি ও তাদের জোট। এবার তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি-না, সে উত্তর দেওয়ার আগে বিএনপি ও তাদের জোট চাইছে কারাবন্দি দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি। এরমধ্যে চলছে আবার জোট-ঐক্য গঠনের আলোচনাও।

এসব বিষয় নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানের। দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য-মামলা, ২০ দলীয় জোটের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাব্য বৃহত্তর ঐক্যে জামায়াতের থাকা-না থাকা নিয়ে তার এ আলাপচারিতায় সঙ্গে ছিলেন বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মো. মহসিন হোসেন ও স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট শাকিল আহমেদ

বাংলানিউজ:  নির্বাচনতো ঘনিয়ে আসছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন বলছে, আগামী মাসে তফসিল ঘোষণা হবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি কী করবে?

নজরুল ইসলাম খান: আমরাতো বলেছি নিম্ন আদালতে যে মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটায় তিনি জামিনে আছেন। জেল থেকে যেন না বের হতে পারেন, সেজন্য সরকার এমন কিছু মামলায় তাকে আটক রাখার চেষ্টা করছে সেসব মামলায় তার সঙ্গে অন্য যে আসামি, তারা সবাই জামিনে আছেন। এটা অদ্ভুত ব্যাপার। এটাতো সরকারের ইচ্ছায় হচ্ছে। সেই ইচ্ছা আদালতকে দিয়ে পূরণ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর মানে দু’টা অপরাধ। একটা হলো তাকে জেলখানায় আটকে রাখা হচ্ছে। আর একটা হলো সেই অন্যায় কাজটাকে সিদ্ধ করার জন্য আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলানিউজ: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে আপনারা নির্বাচনে অংশ নেবেন কি?

নজরুল ইসলাম: আমরা বলেছি মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা দাবি করি এবং আশা করি তিনি মুক্ত হবেন। জোর করে যদি কারাগারে আটকে রাখা না হয় তাহলে তাকে কারাগারে রাখার কোনো সুযোগ নাই। তার সাজা হয়েছে, আপিল হয়েছে, সেটা নিয়ে বিচারে যা হওয়ার হবে, সেটা ভিন্ন কথা।

বাংলানিউজ: তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তির পরে কি নির্বাচনে যাবেন?

নজরুল ইসলাম খান: আমাদের সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি আছে। নির্বাচনের জন্য কী কী করণীয়। এ বিষয়গুলোতে আমাদের কিছু বক্তব্য আছে। আমরা এটা জাতির সামনে বিভিন্ন সময় বলেছি। খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের কারণে আমরা এটা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে পারিনি। সেটা হয়তো তার সম্মতি পেলে আমরা করতে পারবো।

বাংলানিউজ: খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছিলেন, সেসময় তিনি বলেছিলেন নির্বাচনকে সামনে রেখে আরেকটা রূপরেখা দেবেন, আপনি কি সেটার কথা বলছেন?বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।  ছবি: শাকিল আহমেদনজরুল ইসলাম খান: হ্যাঁ, কিন্তু হঠাৎ করে অবিশ্বাস্যভাবে তাকে জেলে দেওয়া হলো। আমরা কখনো ভাবিনি তিনি জেলে যাবেন। খালেদা জিয়াতো ট্রাস্টের মেম্বার নন। কাজেই এজন্য তার কোনো দায়ও নেই।

বাংলানিউজ: তাহলে খালেদা জিয়া কেন জেল খাটছেন?

নজরুল ইসলাম খান: ওই টাকার জন্য যদি দোষী করতে চায়, তাহলে ট্রাস্ট আইন আছে, সে আইনে বিচার হতে পারে। দুদকের আইনে নয়। এখানে দুর্নীতির কোনো বিষয় নয়। এটা ট্রাস্টের এবং এটা প্রাইভেট ট্রাস্ট, সরকারি কোনো ট্রাস্ট নয়।

বাংলানিউজ: আপনারা বলছেন আপনাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। একদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টা অনিশ্চিত। অন্যদিকে নির্বাচন আসন্ন। এ অবস্থায় আপনারা কি বড় কোনো আন্দোলনে যাচ্ছেন?

নজরুল ইসলাম খান: আমাদের নেত্রী কারাগারে যাওয়ার আগে সেন্ট্রাল কমিটির মিটিং করেছেন, প্রেস ব্রিফিং করেছেন, স্থায়ী কমিটির মিটিং করেছেন। তিনি বলে গেছেন, আমার যা-ই হোক, আপনারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আমরা সেটিই করছি। সেই আন্দোলনের অনেকগুলি স্টেজ আছে, আমরা একটা স্টেজ অতিক্রম করছি। গণতান্ত্রিক আন্দোলন নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা অন্য কোনো আন্দোলনে বিশ্বাসও করি না। আন্দোলনকে আরও বিস্তৃত, আরও শক্তিশালী করার দরকার হলে করা হবে।

বাংলানিউজ: খালেদা জিয়া কারাগারে। আপনারা বলছেন তিনি অসুস্থ। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে তিনি সুস্থ...

নজরুল ইসলাম খান : খালেদা জিয়াকে অসুস্থাবস্থায় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। সেখানে যেভাবে তাকে রাখা হয়েছে তাতে অসুস্থতা কমার কোনো সুযোগ নেই, বরং ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার বরাবর এক ধরনের অনীহা এবং লোক দেখানোর কাজ করার চেষ্টা করেছে। আমরা যখন অনুরোধ করেছিলাম তখন পাঠায়নি, হঠাৎ একদিন তাকে পিজিতে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে আমাদের চিকিৎসকদের থাকতে বলা হলেও যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। আরেকটা হলো, তার যে পরীক্ষা দরকার সে যন্ত্র পিজিতে নাই। যার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো যেখানে আছে সেখানে পাঠান। সেটা আছে ইউনাইটেড ও অ্যাপোলোতে (হাসপাতাল)। আমরা বললাম, তিনি এর আগে ইউনাইটেডে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানকার চিকিৎসকরা তার সম্পর্কে জানেন। এতে সরকারের কোনো অসুবিধা নেই। লিখিতভাবে তাদের জানিয়েছিলাম যে, প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যে টাকা লাগবে সেটা পার্টি থেকে বহন করবো। তার পরিবারও বলেছে পরিবার দেবে। তারপরও সরকারের অসুবিধাটা কোথায়। কিন্তু তারপরও তারা পাঠাবে না। এই না পাঠানোর কারণে ক্রমান্বয়ে তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ক’দিন আগে তার আত্মীয়-স্বজনরা দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারা এসে বলেছেন, অবিলম্বে যদি তার ভালো চিকিৎসা করানো না হয়, তাহলে তার বাম হাত এবং বাম পা পঙ্গু হয়ে যাবে।

বাংলানিউজ: এখানে সরকারের কী ভূমিকা?

 নজরুল ইসলাম খান: সরকারের উদ্দেশ্যটা খারাপ। তাকে সুচিকিৎসা দেওয়া না হলে, তিনি যে আরও অসুস্থ হয়ে যাবেন, পঙ্গু হয়ে যাবেন, এটা কি তারা জানে না? আসলে সরকার চাইছে, তিনি পঙ্গু হয়ে যান, তিনি চোখে না দেখুন। প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় যিনি প্রতিপক্ষ-প্রতিদ্বন্দ্বী, তাকে যদি এরকম অসুস্থ করে ফেলা যায়, পঙ্গু করে ফেলা যায়, তাহলে রাজনৈতিক লাভটা সরকারের হবে।

বাংলানিউজ: আপনারা ২০১৪ সালের আগে থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। ড. কামাল হোসেন একটি গণমাধ্যমে বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে খুব দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। এখন ২০১৮ সাল। আপনাদের বক্তব্য কী?

নজরুল ইসলাম: এটা জনগণ জানে যে তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তারা বলেছিল, এটা (৫ জানুয়ারির) নিয়মরক্ষার নির্বাচন, সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। আবার সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। কিন্তু তারা সেটা করেনি। এটা জনগণ জানে, দেখেছে। আমরা নির্বাচনই চাইছি, নির্বাচনই হোক। আমরা জানি যে, তারা যেসব কথা রাখেনি, জনগণের সম্পদ নিয়ে তারা এভাবে ছিনিমিনি খেলেছে, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের যে কষ্ট, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, এসব সমস্যা মিলিয়ে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। অতএব একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ সরকারের এই কাজের জবাব দেবে।

বাংলানিউজ: আপনাদের নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলছেন আন্দোলন করে নেত্রীকে বের করবেন। আসলে সেই আন্দোলনটা কখন হবে?

নজরুল ইসলাম খান: প্রয়োজনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমি বিশ্বাস করি যে এ ধরনের আন্দোলনের মুখে আমরা আইউব খানকে হটাতে পেরেছি, এরশাদকে হটাতে পেরেছি, কাজেই এ সরকারকেও হটানো নিশ্চয়ই যাবে।  

বাংলানিউজ: ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আপনি। জোটের শরিকরা কে কতো আসনে মনোনয়ন পাবেন সে নিয়ে নিশ্চয়তা চাইছেন। তাদের উদ্দেশে আপনার বক্তব্য কী...

নজরুল ইসলাম খান: এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। নিশ্চয়ই ২০ দলে যারা আছেন তাদের মধ্যে যারা যোগ্য প্রার্থী, তাদের বিবেচনায় নেওয়া হবে। কিন্তু সেটা বিবেচনা করা হবে তখন, যখন আমরা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেবো এবং নমিনেশন দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। আমাদের দলের লোকেরা যখন নমিনেশন পাবে, ২০ দলের যাদের পাওয়া উচিত বা পাওয়ার কথা তারাও সেই সময় পাবে। এর আগে আমাদের দলের কাউকেওতো আমরা নমিনেশন দিচ্ছি না।

বাংলানিউজ: আপনারা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য করতে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে ড. কামাল হোসেন, ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রবরা আছেন। তারা বলছেন জামায়াত থাকলে জোট হবে না। প্রশ্ন হলো, বৃহত্তর ওই জোট করতে জামায়াতকে নিয়ে আপনাদের কোনো সমস্যা আছে কি-না?

নজরুল ইসলাম খান: যারা জোট করেছেন তাদের সঙ্গে এটা নিয়ে এখনো আমাদের আলোচনা হয়নি। তারা আমাদের কাছে এরকম কোনো শর্ত উত্থাপন করেনি।

বাংলানিউজ: তারাতো প্রকাশ্যে মিডিয়ায় বলেছেন, জামায়াত ছাড়া আর সবার সঙ্গে ঐক্য করবেন।

নজরুল ইসলাম খান: সেটা তারা বলতে পারেন, এটা তাদের ইচ্ছা বা কথা হতে পারে।   প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব বক্তব্য থাকতে পারে। এতে কিছু আসে যায় না। আমার বক্তব্য এখনো তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো ঐক্য হয়নি।   আমরা চাই সরকারের বিরোধী যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে একটা ‍সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চান, তাদের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি আছি। আমরা আগ্রহী। কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এ নিয়ে ফরমালিটিস আছে। যখন সে ফরমাল কথা হবে তখন আমরা জানতে পারবো, বা বুঝতে পারবো যে তারা কী বলতে চান। আমরা কী বলতে চাই সেটাও তারা জানবেন। সেক্ষেত্রে আপনি যে কথাটি বললেন, ওই নমিনেশনও অনেক বদলে যাবে। এটার এখনও সময় আছে। যখন এটা আলোচনায় আসবে, যখন এটা আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে যাবে তখন এ ব্যাপারে আমরা কথা বলবো।

বাংলানিউজ:  যুক্তফ্রন্ট নামের যে জোট ২০ দলীয় জোটের বাইরে, তাদের পক্ষ থেকে যখন গণমাধ্যমে কথা বলা হয়, তখন মনে হয় তারাই মূলস্রোত। বিএনপিকে তাদের সঙ্গে যেতে হবে বিষয়টা সে রকম কি-না?

নজরুল ইসলাম খান: এটা দেশবাসীই ভালো জানে। আপনারা সংবাদকর্মীরাও জানেন যে বাংলাদেশে বিরোধী রাজনীতির মূলস্রোত কোনটা। এটা যে কোনো একজন দাবি করলেই হবে না। জনগণের সমর্থন কোথায়, জনগণ কোন দলকে মূল ভূমিকায় দেখতে চায়, এটাতো বিবেচনায় নিতে হবে। এটা কারও ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয় নয়। এটা বাস্তবতার ওপরে নির্ভর করবে। সেক্ষেত্রে সেরকম একটা বৃহত্তর জোটে হলে নিশ্চয়ই যার যে মর্যাদা যার যে সম্মান সেটা হবে।

বাংলানিউজ: আপনারা যখন আন্দোলন ঘোষণা করবেন, সে আন্দোলনে যুক্তফ্রন্টকে আপনারা আহবান জানাবেন কি-না?

নজরুল ইসলাম খান: আমরাতো সবাইকে আহবান জানাবো। তাদেরও আহবান জানাবো। আমরাতো বলবো যে, যারাই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আগ্রহী, তাদের সবাইকে ডাকবো, আসুন একসঙ্গে লড়াই করি এবং দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করি। সেই নির্বাচনে জনগণ যাদেরকে সমর্থন করবে তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। কাজেই যুক্তফ্রন্টে যারা আছেন, নিশ্চয়ই তারাও এই একই দাবি করেন। অতএব আমার মনে হয় না যে কোনো সমস্যা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।