ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

সরকার অসচ্ছল মুক্তিযুদ্ধাদের ঘর নির্মাণ করে দিবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
সরকার অসচ্ছল মুক্তিযুদ্ধাদের ঘর নির্মাণ করে দিবে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনকালে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

শেরপুর: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দেশের সব অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি করে ঘর নির্মাণ করে দেবে সরকার। ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের ৮০ শতাংশ দাবি পূরণ করা হয়েছে। আগামীতে সরকার গঠন করলে বাকি ২০ শতাংশ দাবি ও চাহিদা পূরণ করা হবে।

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

** একটি মহল স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসনের চক্রান্ত করছে

মন্ত্রি বলেন, চলতি বছর দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

আশা করছি উপজেলা ভিত্তিক বরাদ্দ এ মাসের মধ্যেই পেয়ে যাবো। চিকিৎসার জন্য উপজেলা, জেলা এবং সরকারি সব হাসপাতালে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওষুধপত্র, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এমনকি সিট ভাড়াসহ সমস্ত চিকিৎসা বিনা পয়সায় পাবেন। এ বছরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে এটা সারা বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কে দেশ পরিচালনা করবে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র না মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দল। এই সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে। দেশের সমস্ত রাস্তা ঘাট মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাকুর্লার দেওয়া হয়েছে। সব মুক্তিযোদ্ধাদের আহ্বান করা হয়েছে, সভা করে তালিকা করার জন্য। কোন রাস্তা কোন মুক্তিযোদ্ধার নামে হবে। সেই তালিকা উপজেলা অফিসে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

পরে সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মুক্ত মঞ্চে সোহাগপুর বিধবা পল্লির শহীদ জায়াদের সংবর্ধনা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আশরাফুল আজীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।  

তিনি বলেন, এই রোহিঙ্গারা ১৯৭৮ সালেও আসছিলো জিয়াউর রহমান ফিরেও তাকান নি।  ১৯৯৩ সালেও আসছিলো রোহিঙ্গা। কিন্তু খালেদা জিয়া কক্সসবাজারে যান নাই। কিন্তু (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। ৭৮ ও ৯৩ সালে তারা যা পারেনি শেখ হাসিনার কারণে আজকে বিশ্বে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ঝাঁকি দিয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. মোখলেসুর রহমান, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনার কলি মাহবুব, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নালিতাবাড়ী সার্কেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।

এর আগে দুপুরে মন্ত্রী নকলা উপজেলায় নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।