ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

পেশাজীবীদের যারা বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
পেশাজীবীদের যারা বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান বিএনপি লোগো

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দোরগোড়ায়। সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরেই তফসিল ঘোষণা। সে হিসেবে চলতি বছর ডিসেম্বরেই হতে পারে ভোটগ্রহণ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যেই অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছে। 

অন্যদিকে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু না বললেও ভেতরে ভেতরে চলছে নির্বাচনী প্রস্তুতি। এরই ধারাবাহিকতায়  এবারের নির্বাচনে বেশ কয়েকজন পেশাজীবী বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।

এদের অনেকে রয়েছেন দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের গুডবুকেও।
 
দলীয় সূত্র জানায়, আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বরিশালের একটি আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন।  

আর দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন মনোনয়ন পেতে পারেন বরগুনা-২ আসন থেকে। তিনি দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।  

নোয়াখালী-১ আসন থেকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক এমপি ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।  

আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া নরসিংদী থেকে মনোনয়ন পাবেন; আর বরিশালের একটি আসন থেকে মনোনয়ন পেতে চান আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।  

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল মনোনয়ন পেতে পারেন নেত্রকোনা-১ আসন থেকে। তারেক রহমানের ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে দলে তার আলাদা মর্যাদা রয়েছে।
 
পঞ্চগড়-১ আসন থেকে এবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার নির্বাচন করছেন না বলে শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাবার আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির।  

শরিক দল ডেমোক্রেটিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা অলি আহাদের মেয়ে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
চট্টগ্রামের একটি নির্বাচনী আসন থেকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ। মীর হেলাল উদ্দিনও থাকছেন মনোনয়ন দৌড়ে।
 
কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে মনোনয়ন চান সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রউফ চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হারুন আল রশীদ।  

আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার মনোনয়ন পেতে পারেন। এছাড়া হবিগঞ্জ-৪ আসনে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মনোনয়ন চাইছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।  
 
এদিকে পিরোজপুর-১ আসনটি যুদ্ধাপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলের একজনকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।  

তবে ওই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চান ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তারের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র।
 
বরিশাল-১ অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কাজ করছেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-১ আসনে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, টাঙ্গাইল-৮ অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, কিশোরগঞ্জ-৪ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, শেরপুর-২ ব্যারিস্টার হায়দার আলী, ঢাকা-১২ ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।  

জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। এখন আমাদের মূল কাজ হলো দলের চেয়ারপারসনকে মুক্ত করা।  

সূত্র বলছে, আইনজীবী ছাড়াও বিএনপিপন্থি একাধিক চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও সাংবাদিকও এবার মনোনয়নের জন্য কাজ করছেন। এর মধ্যে যশোর-৪ আসনে ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, জয়পুরহাট-২ আসনে ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, পটুয়াখালী-২ ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদার, টাঙ্গাইল-৪ আসনে ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান, মানিকগঞ্জ-২ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তের নাম শোনা যাচ্ছে।
 
এ বিষয়ে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বাংলানিউজকে বলেন, মনোনয়ন দৌড়ে নেই। তবে ২০০৮ সালে নেত্রকোনা-১ আসনে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় দল যদি এবারও মনোনয়ন দেয় তাহলে নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে।
 
এদিকে পাবনা-২ আসন থেকে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, বাগেরহাট-৩ আসনে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ময়মনসিংহ-৪ থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা-১৭ আসনে অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা-৬ আসনে ঢাকার সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন।
 
নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদও। বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান কুমিল্লা থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন।  জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বরিশালের একটি আসন থেকে মনোনয়ন চান।

এছাড়া আব্দুল হাই সিদ্দিকী, কাদের গণি চৌধুরী, কাজী জেসিন, গাউসুল ‍আযম বিপু,  মওলানা ভাসানীর নাতি মামুন স্টালিনের নামও আলোচনায় রয়েছে।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমি চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এজন্য এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ ও কাজ করছি। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।  

এছাড়া সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ কুমিল্লার একটি আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানান বিএনপির এই সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক।  

বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এমএইচ/এমএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।