ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

শূন্য টেবিলেতো আলোচনা হয় না: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
শূন্য টেবিলেতো আলোচনা হয় না: রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও অন্যরা। ছবি: শাকিল

ঢাকা: ‘কোনো পূর্বশর্ত দিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে না’, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তাহলে ওনারা কী নিয়ে আলোচনা করতে চান? বিএনপির কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি আছে সেই দাবিগুলোতো বিবেচনায় নিতেই হবে’।

শনিবার (১১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শূন্য টেবিলেতো আলোচনা হয় না।

আমরা যে দাবির ওপর আলোচনা করেছি, নিশ্চয়ই সেটি নিয়ে আলোচনা হতে হবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে একটা জায়গা আসবে যে, আমরা সবাই মিলে কোনো জায়গায় এসে দাঁড়াবো। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন এটি নিশ্চিত করার জন্য যে আলোচনাটা হওয়া দরকার সেটা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে। তাদের মন সাদা নয়, অফ হোয়াইট টাইপের। এখানে আমি কোনো স্বচ্ছতা দেখতে পাচ্ছি না’।

তিনি বলেন, একটা স্বচ্ছ মন নিয়ে আলোচনার জন্য আসুন। আমার মনে হয় একটা অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। জাতীয়তাবাদী শক্তির যিনি প্রতীক বিএনপির নেত্রী তিনি নির্দোষ। তাকে আটকে রেখে আপনারা জোর করে নির্বাচন করতে যাবেন, সেটা হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন করতে হবে।

শহিদুল আলমকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বললেন কী, কতটুকু আইনের ঊর্ধ্বে উঠলে একজন খ্যাতিমান মানুষ পুলিশি শারীরিক নির্যাতন থেকে রেহাই পান বা পান না’।

জয়ের বক্তব্য শহিদুল আলমের ওপর অকথ্য পুলিশি নির্যাতনকে উৎসাহিত করা মন্তব্য করে তিনি বলেন, কাটছাঁটের পরেও বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও বন্দি অবস্থায় শারীরিক নির্যাতন না করার যে বিধান আছে, সেটিকে অগ্রাহ্য করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। শারীরিক নির্যাতনের পক্ষে কথা বলে সংবিধান ও উচ্চ আদালতের রায়কে অবজ্ঞা করলেন জয় সাহেব। তিনি বিদেশে একটি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করলেও তার মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ছিটেফোঁটাও নেই’।

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী, আমলা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে এখন তাদের ওপর বর্বরোচিত নিষ্ঠুর জুলুম চালানো হচ্ছে। সরকার প্রধান এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের আন্দোলন শিক্ষণীয়। তাহলে এখন কেন গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হচ্ছে’।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন, বিএনপি নেতা রফিক সিকদার, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ভিপি ইব্রাহিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।