ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

এমপি রানার জামিন আবেদন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৮
এমপি রানার জামিন আবেদন আমানুর রহমান খান রানা

টাঙ্গাইল: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামি ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা জামিন আবেদন করেছেন।

বুধবার (০৮ আগস্ট) সকালে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদা খানের আদালতে রানার জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে রায় দেবেন।

জামিন শুনানিতে রানার আইনজীবী আব্দুল বাকী মিয়া, আরফান আলী মোল্লা ও টাঙ্গাইল অ্যাডভোকেট বারের সভাপতি ফারুক আহমেদ আদালতকে জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে এমপি রানা কারাগারে রয়েছেন। তিনি জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য। কারাগারে থাকায় তার নিজ এলাকা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া তার শারীরিক অবস্থাও ভাল নয়। জামিন মঞ্জুর করা হলে মুক্তি পেয়ে তার পালিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।  

জামিন আবেদনের বিরোধীতা করেন রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী মনিরুল ইসলাম খান এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম, আব্দুল গফুর ও হুমায়ুন কবির। তারা আদালতকে জানান, এই মামলায় দুইজন আসামি এবং তিনজন স্বাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দিতে ফারুক আহমেদ হত্যাকাণ্ডে এমপি আমানুর রহমান খান রানার প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার কথা উঠে এসেছে। মামলাটি এখন সাক্ষগ্রহণ পর্যায় রয়েছে। এই মুহুর্তে তিনি জামিন পেলে স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখাতে পারেন। এতে স্বাক্ষ্যগ্রহণ ব্যাহত হতে পারে।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়া এলাকার নিজ বাসার কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের জাড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় আমানুর ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।