ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

কুড়িগ্রামে জাপা প্রার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
কুড়িগ্রামে জাপা প্রার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখছেন জাপার প্রার্থী ডা. আক্কাছ আলী সরকার। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপার) প্রার্থীর গাড়ি-বাড়িতে হামলাসহ টাকা ছিনতাই, পার্টি অফিস ভাঙচুর, কর্মীদের উপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের ভোকেশনাল মোড়স্থ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে জাপার প্রার্থী ডা. আক্কাছ আলী সরকার এসব অভিযোগ এনে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক না হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না। নির্বাচনী পরিবেশ অনুকূল না থাকলে নির্বাচন বর্জনেরও ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জাপার জনপ্রিয়তায় তারা ইর্ষাম্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে ভয়ভীতি দেখাছে। শুক্রবার (২০ জুলাই) রাত ১১টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে সেখানে আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে, পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এরপর আমরা পুলিশি প্রহরায় কুড়িগ্রাম শহরের বাসায় আসি এবং সেখানেও অতির্কিতভাবে স্বশস্ত্র হামলা চালায় আওয়ামী লীগের লোকজন। এ সময় গাড়িতে থাকা ৫ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তাদের মূল তার্গেট ছিল আমাকে হত্যা করা।

আক্কাছ আলী বলেন, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আমাকে ডেকে আশ্বস্থ করেছেন নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু করার। এ অবস্থায় আমরা দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। তবে মাঠে যদি নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হয়। আমার নেতাকর্মীরা যদি হুমকি-ধামকির মধ্যে থাকে তাহলে এ অবস্থায় নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কুড়িগ্রাম-৩ উপ-নির্বাচন উপলক্ষে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময়সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যক্ষ এম এ মতিন ও জাপার প্রার্থী ডা. আক্কাছ আলী সরকার পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি হামলার অভিযোগ করেন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন-নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, রংপুর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আনওয়ার হোসেন, রংপুর ভারপ্রাপ্ত উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক বশির আহম্মদ, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জিএম সাহাতাব উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
এফইএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।