ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাজশাহীতে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি লিটনের

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
রাজশাহীতে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি লিটনের বক্তব্য রাখছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি বাংলানিউজ

রাবি: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীর সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করা হবে। 

বর্তমানে রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল মিল বন্ধ প্রায়। অন্যান্য শিল্প কারখানাও ধুকে ধুকে চলছে।

এগুলো প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা লোকসান গুণছে। মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে বিসিক ও পারিলা ইউনিয়নে বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে। সেখানে শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে কমপক্ষে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে, যোগ করেন লিটন।

বুধবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ’র ব্যানারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের আমলে রাজশাহী পিছিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মানুষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারই ফল ভোগ করতে হচ্ছে এখন। উন্নয়নের বিবেচনায় রাজশাহী শহর পিছিয়ে গেছে ১৫-২০ বছর। রাজশাহীর মানুষ যদি আমাকে আরেকবার সুযোগ দেয়, তাহলে গ্রামের মানুষদের নগর জীবনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবো।
 
আমি যখন রাজশাহী শহরের দায়িত্বে ছিলাম, তখন এ শহর ছিল ঝকঝকে তকতকে। আর এখনকার রাজশাহীর অবস্থা দেখে আমি নিজেই মর্মাহত। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানি উঠে যায় এ শহরে। ড্রেনগুলোরও বেহাল দশা। আগামী ২০ বছরে যাতে এ শহরে যানজট না হয়, সেজন্য আমি অন্তত তিনটি ফ্লাইওভার করবো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবো। মোটের ওপর এ শহরকে একটি মেগা সিটিতে পরিণত করবো, প্রতিশ্রুতি লিটনের।  

অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন,  দেশের সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে, উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দেওয়ার বিকল্প নেই। তাই খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ মানুষ বেশ আগ্রহের সঙ্গে নৌকায় ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে রাজশাহী বেশ উল্লেখযোগ্য এলাকা। রাসিক নির্বাচন আমাদের জন্য পরীক্ষা। এ নির্বাচনে জয় এ অঞ্চলের সব সংসদীয় আসনে ও জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভে সহায়ক হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লিটনের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করলে জয়লাভ আরও সহজ হবে। খুলনা সিটি নির্বাচনে খুলনার প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। উন্নয়নের জন্য নৌকার বিকল্প নেই, সাধারণ মানুষকে তা বোঝাতে হবে।

রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, দেশের সরকার যদি কল্যাণকামী, উন্নয়নকামী, শিক্ষাবান্ধব, কৃষিবান্ধব এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব সরকার হয়, তাহলে সে সরকারকে আমরা ভোট দেবো না কেন? বিএনপি মিথ্যা প্রচার করে, মিথ্যার ওপর চলে। বিএনপি নিজেরাই নিজেদের জনসংযোগে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক জুলফিকার আলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।