ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

‘ব্যাংক ভল্টের সোনার চাকতি হয়ে গেছে মিশ্র ধাতু’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
‘ব্যাংক ভল্টের সোনার চাকতি হয়ে গেছে মিশ্র ধাতু’ বক্তব্য রাখছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনার চাকতি ভুতুড়েভাবে মিশ্র ধাতু হয়ে গেছে।

তিনি বলেছেন, আজকের পত্রপত্রিকা দেখেন; বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ রাখা ছিল, কিন্তু সেখানে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ ১৮ ক্যারেট হয়ে গেছে। জমা রাখা হয়েছিল সোনার চাকতি, তা হয়ে আছে মিশ্র ধাতু।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এ ভয়ংকর অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকম্প এবং সরকারের নীল নকশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন ড. মোশাররফ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি কেএম নুরুল হুদা) আওয়ামী লীগের নেতা আখ্যায়িত করে ড. মোশাররফ বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠনের শুরু থেকেই সরকারের গলদ রয়েছে। গঠনের সময় লোক দেখানো আলোচনা করে তারা তাদের পরীক্ষিত লোকদের এখানে স্থান করে দিয়েছে। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জনতার মঞ্চের (আওয়ামী লীগের আন্দোলনের প্লাটফর্ম) নেতৃত্বদাতা।  

তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু স্বাভাবিক নির্বাচন হবে কেউ বিশ্বাস করে না। এদের দ্বারা জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, তাও আশা করা যায় না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) আরও একটি পাতানো-সাজানো নির্বাচন করে আবারও স্বৈরতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে চায়। (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি।

সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করাই বিএনপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, আগামীতে জনগণ যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, এমন নির্বাচন আমাদের আদায় করে নিতে হবে। দেশ স্বৈরাচারমুক্ত না হলে এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কোনো স্বৈরাচার ইচ্ছে করে ক্ষমতা ছাড়তে চায় না।

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন কোনো কোটাই থাকবে না। সরকার কতোটা ভীতু? ছাত্রদের ন্যায্য দাবিকে দাবিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংসদে প্রতারণা করলেন।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এবং সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ, বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।