ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই বক্তব্য রাখছেন মওদুদ আহমদ। পাশে দলের অন্য নেতারা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১১ এপ্রিল সংসদে বললেন কোটা থাকবে না। আবার ২৭ জুন বললেন কোটা থাকবে।

তিনি সংসদকে সম্মান করেন না বলেই কথা দিয়ে কথা রাখেননি।
 
শুক্রবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জেএক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
 
মওদুদ আহমদ বলেন, এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বলছেন আদালতের নাকি রায় আছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা যাবে না। আমি মনে করি না যে এ ধরনের কোনো রায় আছে। যদি থেকেও থাকে অ্যাটর্নি জেনারেল সেটা যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারেন। নিয়ত ঠিক থাকলে সবকিছুই করা সম্ভব।  

কোটা আন্দোলনে জড়িতদের পুলিশি হয়রানি ও নির্যাতনের বিচার একদিন এদেশে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
 
ডা. জাফরুল্লাহকে দায়িত্ব নিতে বলে মওদুদ বলেন, আমরা যদি জাতীয় ঐক্য করতে ব্যর্থ হই তাহলে আপনি দায়িত্ব নিয়ে সেই ভূমিকা পালন করবেন। চেকোস্লোভাকিয়ায় ডা. জাফরুল্লাহর মতো একজন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ছিলেন, তিনি সেই দেশের ফ্যাসিবাদী সরকারের বিদায়ের সময় দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

জাফরুল্লাহর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি একজন ডাক্তারও। ফ্যাসিবাদী সরকারের কারণে গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। এখান থেকে উদ্ধার করতে হবে। সেজন্য আপনাকে ভূমিকা রাখতে হবে।
 
জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, একমাত্র বিকল্প জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। পৃথিবীর কোথাও সাধারণ নিয়মে ফ্যাসিবাদের বিদায় হয়নি।
 
হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিলেও তিনি একদিনের জন্যও বাইরের আলো-বাতাস দেখার সুযোগ পেলেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নিম্নতম পর্যায়ের বিচারক ম্যাজিস্ট্রেটের কারণেই এটা হয়েছে। উচ্চ আদালতের চেয়ে তিনি বেশি ক্ষমতাবান। তারপরও আমাদের কোনো উপায় নেই। ওই আদালতের কাছেই আমাদের যেতে হবে। আমি আশাবাদী নির্বাচনের আগেই খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। তাকে ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। কারণ খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।   
 
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবিতে এ সমাবেশেরআয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ।
 
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেটএহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, ২০ দলীয় জোট যুক্তরাজ্য শাখার সমন্বয়কারী মাওলানা সোয়ায়েব আহমেদ, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনির, স্বাধীনতা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।