ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অন্যান্য দল

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত পুনঃনিরীক্ষার দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত পুনঃনিরীক্ষার দাবি টাঙ্গাইল জেলা গণসংহতির সংবাদ সম্মেলন

টাঙ্গাইল: রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনঃনিরীক্ষার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) গণসংহতির টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত পুনঃনিরীক্ষার দাবি জানান স্থানীয় নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিকের সংগঠন করার অধিকার স্বীকৃত।

আবার ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিকের নির্বাচিত হবার অধিকার রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাজ এই অংশগ্রহণ যাতে বিনা বাধায় ও বৈষম্যহীন ভাবে হতে পারে তার ব্যবস্থা করা। কিন্তু আমরা দেখছি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন আইনে শর্তগুলো এমনভাবে ঠিক করা হয়েছে যাতে করে মনে হতে পারে সকল নাগরিকের রাজনীতি করার ও দল গঠন করার সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়ন নয় বরং তাতে নানা বাধা-বিপত্তি তৈরিই এই বিধিমালার উদ্দেশ্য।

গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর বিধি অনুযায়ী শর্তপূরণ সাপেক্ষে গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করে। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল তারিখে পত্র মারফত নির্বাচন কমিশন তার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যে ঘাটতি বা সম্পূরক শর্তাদি পালনের শর্ত দেয় তাও গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে পূরণ করা হয়। উল্লেখ্য ইসির এই চিঠি ছিল দলিলপত্রে কোন ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে ১৫ দিন সময় দেবার বিধান অনুযায়ী। সেখানে ইসির চিঠিতে দলের গঠনতন্ত্রে অঙ্গ সংগঠন না রাখার বিধান যুক্ত করা এবং বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া বিস্তারিত করার কথা বলা হয়। যার অর্থ নির্বাচন কমিশন এই দুই ক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে কোন ঘাটতি নেই বলে স্বীকৃতি দেয়। কাজেই তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী গণসংহতি আন্দোলন এই দুইটি বিষয়ই গঠনতন্ত্রে পরিষ্কারভাবে যুক্ত করে তার অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী দলিলাদি বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলন সকল শর্তপূরণ করে।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা আরো বলেন, গণসংহতি আন্দোলন একটি সক্রিয় রাজনৈতিক দল এবং মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষায় জনগণের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় গণসংহতি আন্দোলনের ভূমিকা রাজনৈতিক সচেতন মহলে জ্ঞাত ও পরিচিত। শুধু সক্রিয় তার বিবেচনাতেই নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজের বিস্তারের বিবেচনাতেও আমরা নিবন্ধনের দাবিদার। গণসংহতি আন্দোলন নির্বাচন কমিশনে যে কাগজপত্র দাখিল করে তাতে ১০৯টি অধিক থানায় কার্যালয় ও কমিটি থাকা, ২০০ এর অধিক ভোটার সদস্য থাকা, ২৮টি জেলায় জেলা কমিটি ও কার্যালয় থাকার প্রমাণ পত্র দাখিল করা হয়। অর্থাৎ নতুন দল নিবন্ধন বিধি ৬ এর (ঞ) উপবিধির (ই) ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত গণসংহতি আন্দোলন যথাযথভাবে পূরণ করেছে।

কাজেই সমস্ত বিচারেই গণসংহতি আন্দোলন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের প্রকৃত দাবিদার। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করে গণসংহতি আন্দোলনসহ অন্যায্যভাবে বাদ দেয়া সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর আবেদন মাঠ পর্যায়ে জরিপের জন্য প্রেরণ করবে এবং নিবন্ধন বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে উপনীত হবে, যোগ করেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সমন্বয়কারী তুষার আহম্মেদ লাবু, সদস্য সচিব দিদার মাসতুয়াল, কেন্দ্রীয় সংগঠক আশরাফুল আলম সোহেল, টাঙ্গাইল সদর কমিটির সমন্বয়কারী সেলিম আহম্মেদ,  টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য সাফিন আহমেদ বাবু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সংগঠক ফাতেমা রহমান বিথী, টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য বাদল আহমেদ, মধুপুর থানা কমিটির সদস্য সচিব গোবিন্দ বর্মণ, নাগরপুর থানা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল আলীম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।