ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর তাগিদ তৃণমূল নেতাদের

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮
অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর তাগিদ তৃণমূল নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

ঢাকা: আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা আগামী নির্বাচনের আগে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে ফেলে ঐক্যবদ্ধ রাখার তাগিদ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দলে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার উপরও তারা গুরুত্ব দিয়েছেন। 

শনিবার (২৩ জুন) দলের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্য, জেলা, উপজেলা, মহানগর, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের চার সহস্রাধিক প্রতিনিধি এ বর্ধিত সভায় অংশ নেন। সভায় প্রত্যেক বিভাগের পক্ষ থেকে একজন করে বক্তব্য রাখেন।  

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত এ সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার, নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাট এবং আওয়ামী লীগের সরকারের উন্নয়নের চিত্র জোরালোভাবে জনগণের মধ্যে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু প্রার্থী হয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। কে কি করছেন সব রিপোর্ট দলের সভাপতির কাছে আছে। নির্বাচনী জরিপ নিয়ে শিগগির আরেকটি রিপোর্ট আসবে।  

সভায় ঢাকা বিভাগের পক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেন, যে সব জায়গায় দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল আছে টিম করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করেন। জনগণের মধ্যে আওয়ামী লীগের যে অবস্থা তাতে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমস্যা আওয়ামী লীগই।

ময়মনসিংহ বিভাগের পক্ষে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকী বিল্লাহ বলেন, নেত্রী আপনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তা বাস্তবায়নে প্রস্তুত আছি। তবে যেভাবে বাইরে থেকে নৌকায় লোক উঠছে তাতে এর সলিল সমাধি ঘটবে। ৭৫ এর রক্তাত্ব প্রান্তর থেকে উঠে আসা আমাদের উপর আস্থা রাখুন। এভাবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে।  

বরিশাল বিভাগের পক্ষে ধিরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে এমন কোনো শক্তি নাই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করবে।
 
এছাড়া খুলনা বিভাগের পক্ষে হারুণ অর রশিদ, রাজশাহী বিভাগের পক্ষে খায়রুজ্জমান লিটন, চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষে আজম নাছির, সিলেট বিভাগের পক্ষে নেসার আহমেদ ও রংপুর বিভাগের পক্ষে আবু বকর সিদ্দিক বক্তব্য রাখেন।

তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য শোনার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি যাতে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য তাদের দুর্নীতি সন্ত্রাস, তাণ্ডবের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরবেন। আমি ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের দলের প্রতিনিধি যারা আছে খবু শিগগির তাদের সঙ্গে বসবো। সংসদে বাজেট অধিবেশন চলছে, বাজেট পাস হওয়ার পর আমি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিদের ডাকবো। এটা আমাদের সরকারের শেষ বছর যাতে সবার সঙ্গে কথা বলতে পারি সে জন্য সবাইকে ডাকবো।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮ 
এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।