ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধের দাবি বিএনপি প্রার্থীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধের দাবি বিএনপি প্রার্থীর পথসভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার। ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধের দাবিতে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।  

সকাল থেকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরের হারিনাল, জোড়পুকুর, ভুরুলিয়া, চাপুলিয়া, বরুদা, শিমুলতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।

এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।  

দুপুরে মো. জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে চান্দনা-চৌরাস্তা বাজার, শাপলা ম্যানশন ও আশেপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্রী পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি শাহাদত হোসেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম বাবুল, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. রেজাউর রশীদ খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আফজাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক করিম সিকদার ও শওকত রায়হান, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হালিম সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন সরকার রিপন ও গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরা সরকার প্রমুখ। গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম।  ছবি: বাংলানিউজ এছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে পথসভায় অংশ নেন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবু দাউদ মসনবী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী ফারুকী প্রমুখ।  

এদিকে, ২০ দলীয় ঐক্যজোটের মেয়র প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারণায় অংশ নেননি। দুপুরের পর তিনি মহানগরের কোনাবাড়ি বাজার, জরুন, কাশিমপুর এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. সোহরাব উদ্দিন প্রমুখ।

পথসভায় জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন অভিযোগ করেন, তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে পুলিশ। পাশাপাশি তাদের নির্বাচনী এজেন্টদেরও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, বুধবার (২০ জুন) রাতে তাদের দল ও অঙ্গ সংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মীদের আটক করেছে পুলিশ। অভিনব কায়দায় পুলিশ রাতে তাদের নেতাকর্মীদের গাজীপুর থেকে আটক করে অন্য জেলার পেন্ডিং মামলায় আসামি দেখিয়ে ওইসব থানার নিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পুলিশের এহেন কাজের জন্য প্রতিবাদ স্বরূপ সকালে গণসংযোগ ও প্রচারণায় বের হননি বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন।  এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  

বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, পোলিং এজেন্টরা যাতে কেন্দ্রে না যায় সেজন্য সাদা পোশাকে পুলিশ কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর অঞ্চলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়াচ্ছে।  

পুলিশ নগরীর কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি অঞ্চলের কেন্দ্রগুলো দখলের নীল নকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন হাসান উদ্দিন সরকার।  

ইতিপূর্বে কাশিমপুর অঞ্চলের ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাবেক কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সরকারকে আটক করে পুলিশ। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পুলিশি হয়রানির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশি হয়রানি থামছে না বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নাই বলেও জানান তিনি। তিনি গণগ্রেফতার বন্ধ, আটককৃতদের মুক্তি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের জন্য সকালেও লিখিত অভিযোগ করেছেন।  

রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল বিএনপি প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আটকদের নামে কোনো ওয়ারেন্ট আছে কিনা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছি। বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে।  

১৫ জনকে গ্রেফতার কথা অস্বীকার করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, দুইজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে। ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮ 
আরএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।