ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অন্যান্য দল

‘নতুন দল গড়ায় প্রতিবন্ধকের ভূমিকায় ইসি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
‘নতুন দল গড়ায় প্রতিবন্ধকের ভূমিকায় ইসি’ গণসংহতি আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) নতুন রাজনৈতিক চিন্তা ও দল গড়ে ওঠায় প্রতিবন্ধকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের এ অভিযোগ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

এতে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখ্‌তারসহ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কমিশনের দেওয়া সবগুলো শর্তপূরণ করেই গণসংহতি আন্দোলন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। গণমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি নির্বাচন কমিশন গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধনের উপযুক্ত বলে মনে করেনি। অথচ এর আগে ৮ এপ্রিল গণসংহতি আন্দোলনকে চিঠি প্রদান করে নির্বাচন কমিশন অঙ্গ সংগঠন না থাকার ঘোষণা এবং প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া বিষয়ে গঠনতন্ত্রে সংশোধনীর জন্য বলেছিল। সেটি যথাসময়ে সংশোধন করে জমাও দেওয়া হয়।

জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে বলেন, গণসংহতি আন্দোলন একটি পরিচিত রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দলটি ভূমিকা রেখেছে। জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলন, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন, পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন, কৃষকদের ফসলের দামের জন্য সংগ্রাম, ফুলবাড়ীর উন্মুক্ত কয়লাখনি বিরোধী আন্দোলন, যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে আমরা ভূমিকা পালন করেছি। গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একটা বড় অংশ শ্রমিক আন্দোলন ও ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন।

গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, সামরিক সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরপিওর নামে রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণের যে বন্দোবস্ত করেছিল, বর্তমান সরকার তাকে আরো বহুগুণ কঠোর করে তোলার মধ্য দিয়ে সমাজে নতুন চিন্তা ও রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণেরই বন্দোবস্ত করেছে। নির্বাচন কমিশনও সেই কাজে সহযোগীর ভূমিকাই পালন করছে। অথচ এই ধারাগুলো রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার জনগণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। তারপরও গণসংহতি আন্দোলন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তাদের শর্তপূরণ করেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল।  

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গণসংহতির নেতারা আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেলে গণসংহতি আন্দোলন সংবিধানে বর্ণিত মৌলক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনে আইনেরও দ্বারস্থ হবে। আরপিও সংবিধানের সাথেও সাংঘর্ষিক। এই আরপিও বজায় থাকলে নতুন চিন্তা-চর্চা, সৃজনশীল উদ্যোগ এবং সমাজে-রাষ্ট্রে রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠার সকল প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত বন্ধ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।