ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

সিএমএইচকেও ‘না’ বলা উচিত হবে না খালেদার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
সিএমএইচকেও ‘না’ বলা উচিত হবে না খালেদার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিতে ‘অনীহা’ প্রকাশের পর সরকারের তরফ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সেবা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে চাইলে সিএমএইচকেও প্রত্যাখ্যান করা খালেদার উচিত হবে না বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গ্রামমুখো মানুষের ঈদ-যাত্রা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিএমএইচ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল, এর চেয়ে ভালো চিকিৎসা আর কোথায় আছে।

তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নেবেন না, তাই আমরা সিএমএইচের কথা বলেছি। তিনি একটা বড় দলের চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তাই আমরা তাকে দেশের সবচেয়ে ভালো যেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা, সেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছি। যদি তিনি চিকিৎসা চান, তবে এটা প্রত্যাখ্যান করা উচিত হবে না। আর যদি রাজনীতি করেন তাহলে ভিন্ন কথা।

দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি খালেদা জিয়া সম্প্রতি কারাগারে ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ করেন বলে অভিযোগ তোলেন তার চার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। এরপর থেকে বিএনপি দাবি করে আসছিল, খালেদাকে বিশেষায়িত ‘ইউনাইটেড হাসপাতালে’ চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সরকার বলে আসছে, কারাবন্দি বিধায় খালেদাকে সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে হবে। সেজন্য সরকার বিএসএমএমইউর কথা বললেও খালেদা এখানে আসতে ‘অনীহা’ দেখান। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১২ জুন) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিএমএইচে নেওয়ার কথা বলেন খালেদাকে। সে কথা বললেন এবার কাদেরও।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা (আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল সম্প্রতি) ভারত গিয়েছিলাম তিস্তা ও রোহিঙ্গা সংকটসহ জাতীয় সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য। কিন্তু (এরপর) বিএনপি ভারত গিয়েছে নালিশ করতে। নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে নালিশ ছাড়া জাতীয় স্বার্থ নিয়ে তারা কথা বলেছে, পত্রিকায় এমন খবর আমরা দেখিনি।  

বিএনপি দেশে এবং দেশের বাইরে সব জায়গায় শুধু নালিশ করে বেড়াচ্ছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, নালিশ করতে করতে দূতাবাসগুলোকে তটস্থ করে ফেলেছে তারা। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয় হতে পারে না। তাছাড়া, আমাদের দেশের রাজনীতিতে কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ করার সুযোগও নেই। আর ভারত যদি কেবল আমাদেরই বন্ধু হয়ে থাকে, তাহলে কেন আমরা ২০০১ সালের নির্বাচনে হেরেছি। কেন ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারিনি আমরা।

তিনি আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলেন, ঈদের পরে জোটগুলোর সঙ্গে বসে কে কোথায় প্রার্থী দেবে তা ঠিক করা হবে। নির্বাচনে জিতবে না এমন কাউকে বা উইনেবল প্রার্থী ছাড়া কাউকে আমরা মনোনয়ন দেবো না। আমাদের কৌশলগত কিছু বিষয় আছে, তাই এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।