ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘বিএনপির সঙ্গে বসার কোনো সম্ভাবনা নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৮
‘বিএনপির সঙ্গে বসার কোনো সম্ভাবনা নেই’ হাসুমণি’র পাঠশালা আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকের বক্তারা

ঢাকা: বিএনপির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে বলেও জানান তারা।

বুধবার (০৯ মে) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে হাসুমণি’র পাঠশালা আয়োজিত ‘তারুণ্য সম্পদ, তারুণ্যই ভাবিষ্যৎ: প্রয়োজন আদর্শিক নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।

হাসুমণি’র পাঠশালার সভাপতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াস সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, হুইপ ইকবালুর রহিম, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন প্রমুখ।

আলোচনার টেবিলে বিএনপি সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি তো রূপরেখা দিতে পারে, এখন কার সঙ্গে আলোচনা হবে জানি না। তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নাই।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধানে বিশ্বাস করে। বর্তমান সংবিধানের আলোকেই আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবে বর্তমান সরকার। সেই নির্বাচনকালীন সরকার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।

বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছিল সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে। সাংবিধানিক পদে যারা অধিষ্ট তাদের দিয়েই সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এমনি বিএনপির কাছেও নাম চাওয়া হয়েছিল, আমাদের কাছে নাম চাওয়া হয়েছিল। বিএনপির দেওয়া তালিকা থেকেও নির্বাচন কমিশনার বর্তমান কমিশনে রয়েছেন। কাজেই ভবিষতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সম্ভাবনা নাই। তেমনি সহায়ক সরকার বা তত্ত্ববধায়ক সরকার বলে কোনো সরকার বাংলাদেশে আর আসবে বলে আমি মনে করি না। কারণ, এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচনকালীন সময়ে সমস্ত ক্ষমতা থাকবে ইসি’র হাতে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিতে জাতীয় নির্বাচন স্থগিতের ইঙ্গিত- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির ইঙ্গিতের কোনো অভাব নাই। ওরা ভালো কিছু দেখে না। রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে সমাদৃত, এটাও বিএনপি ভালো চোখে দেখে না।

সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) বলেছেন, গাজীপুরে নাকি নির্বাচন হবে না। কেনো নির্বাচন হবে না? আমরা কুমিল্লায় হেরেছি, রংপুরে হেরেছি। তারপরেও কি খুলনায় নির্বাচন হচ্ছে না? গাজীপুরের নির্বাচন কি এগিয়ে যাচ্ছিল না?

তিনি বলেন, আমরা তো জানতাম না। আদালত একটা নির্দেশনায় স্থগিত হয়েছে। দু’দিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি আমাকে বলেছেন যেকোন মুহূর্তে গাজীপুরে নির্বাচন হবে, তোমরা কার্যক্রম অব্যাহত রাখো। নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। তার জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।