ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

খেলে গোল দিতে চাই: নাসিম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
খেলে গোল দিতে চাই: নাসিম আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহাজোটের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পাশে রাশেদ খান মেননসহ অন্য নেতারা। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: আগামী ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, খালি মাঠে গোল দিতে ভালো লাগে না। খেলে গোল দিতে চাই। (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার মার্কা নৌকা। তিনি যাকে মনোয়ন দেবেন তাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। আর ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনাই গোল দেবেন।
 
 

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।

 

নাসিম বলেন, চার জাতীয় নেতা সামান্যতম মাথা নত করেননি। স্বাধীনতার পক্ষে তারা সারা দুনিয়ার সমর্থন আদায় করেছেন। হানাদার বাহিনীকে সারেন্ডার করতে বাধ্য করিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেছেন। আর ওই সরকারই একমাত্র সফল সরকার। আওয়ামী লীগ ছাড়াও যারা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছেন, সবাই কিন্তু এ দিবস পালন করছে না। কারণ তারা ছোট হয়ে আছে। তাদের মন ছোট। তারা কখনও বড় হবে না।
 
তিনি বলেন, সত্তরের নির্বাচনে জয়ী হয়েও সরকার গঠন করতে দেওয়া হয়নি আওয়ামী লীগকে। পরবর্তীতে যুদ্ধ করে এ সরকার গঠন করতে হয়।
 
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের মাসে সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। এক থেকে দুই কথা হবে না। এক বিন্দুও সরবো না।
 
বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, রাশেদ ভাইয়ের এলাকায় (জোটের নেতা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নির্বাচনী এলাকা নয়াপল্টন) একটি অফিস আছে। যেখানে শুধু ব্রিফিং করে। তাদের কাজ হচ্ছে সারাদিন শুধু শুধু ব্রিফিং করা। লজ্জাও করে না। তিন মাস ধরে তাদের নেত্রী কারাগারে। ওদের নেতারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। মিছিল সমাবেশ করতে গিয়ে দৌড়ে পালায়। আমরা তো মিছিল করেছি। দৌড়ে পালাইনি।
 
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন কেন করতে চান না? তাহলে তাকে মুক্ত করতে পারছেন না কেন? বলছেন আমরা যেন তাকে মুক্তি দিই। আপনাদের নেত্রী আমরা কেন মুক্ত করতে যাবো? আপনাদের নেত্রী আপনারা আদালতে গিয়ে জামিন করিয়ে আনেন, ভালো উকিল ধরে।
 
ছোট খাটো ভুল এড়িয়ে নৌকার পক্ষে ভোট দিতে ১৪ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা বড় কোনো ভুল করিনি। ছোট খাটো যা ভুল আছে তা ভুলে যেতে হবে। নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। কারণ নৌকা হচ্ছে শেখ হাসিনার। তিনি যাকে নৌকা দেবেন, তার পক্ষে কাজ করতে হবে।       
 
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও আরেকাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক, গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপের যুগ্ম-সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ।
 
সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।