ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আ’লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার বাদীকে ২য় দফা জেরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
আ’লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার বাদীকে ২য় দফা জেরা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার বাদী নাহার আহমেদকে দ্বিতীয় দফা জেরা করেছেন এমপি আমানুর রহমান খান রানার আইনজীবীরা।

বুধবার (২১ মার্চ) সকালে জেরা করেন আইনজীবীরা। আগামী ১৮ এপ্রিল পরবর্তী জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে সকাল সোয়া ১১টায় মামলার বাদী নিহত ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদের দ্বিতীয় দিনের জেরা শুরু হয়। এমপি রানার আইনজীবী আব্দুল বাকী মিয়া ও তার সহযোগীরা জেরা শুরু করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চারবার পেছানোর পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি নাহার আহমেদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে সাক্ষীকে মঙ্গলবার প্রথম দফা জেরা করা হয়। বুধবার দুই ঘণ্টা জেরা শেষে আদালত মুলতবি করা হয়।

এর আগে সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে টাঙ্গাইল কারাগারে আনা হয়।

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মামলার আরও দুই সাক্ষী নিহত ফারুক আহমেদের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা বুধবার আদালতে দাখিল করা হয়।

কারাগার থেকে এ মামলার প্রধান আসামি এমপি রানা ছাড়াও টাঙ্গাইল কারাগারে থাকা আরো তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও মো. সমীরকে আদালতে হাজির করা হয়।

এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১-এ আছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে।

২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।