ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আ’ লীগ নেতা ফারুক হত্যা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ মার্চ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
আ’ লীগ নেতা ফারুক হত্যা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ মার্চ আদালত থেকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে এমপি রানাকে

টাঙ্গাইল: দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। এরপর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে ২১ মার্চ।  

মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে কারা অ্যাম্বুলেন্সে করে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা রানাকে টাঙ্গাইল কারাগারে আনা হয়।

এরপর মঙ্গলবার এমপি রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদীর জেরা।
 
টাঙ্গাইল কোর্ট পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।  

তিনি আরো জানান, আদালতে মামলার বাদী নিহত ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদের জেরা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বাকি আরও দুই সাক্ষী ফারুকের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা আদালতে দাখিল করা হয়। পরে আদালত বাদীর আংশিক জেরা গ্রহণের পর বুধবার (২১ মার্চ) এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। রানা ছাড়াও কারান্তরীণ মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদও আদালতে হাজিরা দেন।

এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।  

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায় তার কলেজপাড়ার বাসার কাছে। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ আসামি রয়েছেন। ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।