ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

ফরিদপুরে ২২ বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
ফরিদপুরে ২২ বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান

ফরিদপুর: ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১১ এর ডিসেম্বরে। এরপর ৬ বছর কেটে গেলেও নতুন কমিটি না হওয়ায় বর্তমান জেলা কমিটির নরবরে অবস্থা রয়েছে বলে জানান ফরিদপুর জেলা বিএনপির তরুণ ও তৃনমূল নেতাকর্মীরা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির গত কয়েক বছরের বিভিন্ন সময়ে জেলা কমিটির ১ নম্বর সহ-সভাপতি এম এম শাহরিয়ার রুমী, যুগ্ম-সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, ত্রাণ ও পুর্নবাসন সম্পাদক নাফিজুল হোসেন তাপস, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন হিমু, তাতী সম্পাদক আজমল হোসেন খান আজম, শ্রমিক সম্পাদক শেখ মোজাফফর আলী মুছা, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আজিজুর রহমান মোল্লা, আব্দুস সালাম লালসহ কমপক্ষে ২২ নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে।  

এর বাইরে সহ-সভাপতি খন্দকার চাঁদ, যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কাশেম মিয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার হাবিবুর রহমান বাবুল, উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট ছরোয়ার জান মিয়াসহ ১০ থেকে ১২ জন এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

আবার দলের মধ্যে প্রায় ১০ জন আছেন যারা বর্তমানে আওয়ামী লীগ করেন না বিএনপির করেন তা বোঝার উপায় নেই। খোদ দলের নেতাকর্মীদের অনেকেরই অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও ২০১৭ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি জন্মদিনেও জেলা বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচি ছিলো না।   

এদিকে ১৯ বছর ধরে জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মো. জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া। আর ১৯৮৮ সাল থেকে প্রায় ৩০ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা। সব মিলিয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির এখন লেজেগোবরে অবস্থা।  

এ নিয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, জেলা বিএনপির নতুন কমিটি এখন সময়ের দাবি। সামনে নির্বাচনী আন্দোলনকে গতিশীল করতে তরুণ পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে দ্রুত নতুন কমিটি গঠন না করলে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হবে।

তাছাড়া নানা কারণে দলের প্রায় ২০ থেকে ২২ জন নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আবার অনেকে মারাও গেছেন। নিশ্চয় কেন্দ্রীয় নেতারা এ বিষয়গুলো নজরে আনবেন বলেও জানান বিএনপির এ নেতা।  

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বাংলানিউজকে বলেন, দলীয় সব কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। অবস্থা বুঝে যখন যেভাবে সম্ভব কর্মসূচি পালন করা হয়।

তিনি বলেন, নতুন কমিটির ঘোষণা করার জন্য চেষ্টা করছি। বিএনপির মতো এতো বড় একটি দলে ভেতরে ভেদাভেদ থাকবেই। নতুন কমিটির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।  

একসঙ্গে অনেক নেতার আওয়ামী লীগে যোগদান বিষয়ে মোদাররেছ আলী বলেন, লোভের বসবর্তী হয়েই এসব নেতারা আওয়ামী লীগে গেলেও সময় মতো ভুল বুঝে দলে ফিরে আসবেন। রাজনীতি এতো সহজ কথা নয়। এখনও অনেক কিছু দেখার বাকি রয়েছে। সময়ই সব বলে দেবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
এমএসএ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।