ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

সিলেটে মিয়াদের মরদেহ নিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
সিলেটে মিয়াদের মরদেহ নিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সিলেটে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

সিলেট: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ছাত্রলীগ নেতা ওমর আলীর মরদেহ নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করেছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপ।

সমাবেশ থেকে সিলেট প্রতিপক্ষ গ্রুপের জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরীর গ্রেফতার দাবি করে তার অনুসারী গ্রুপকে অবাঞ্ছিত ও প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন বক্তারা।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় নিহত ওমর আলী মিয়াদের মরদেহ নিয়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মিছিল-সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চৌধুরী ও কামরুল ইসলামসহ অন্যান্যা নেতারা।

বক্তারা মিয়াদ নিহতের ঘটনায় চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।  কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বুধবার (১৮ অক্টোবর) এমসি ও সরকারি কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি, পরদিন বৃহস্পতিবার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘট, শুক্রবার হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহে মিলাদ মাহফিল এবং  শনিবার সিলেট নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৩টায় নগরীর টিলাগড়ে ছাত্রলীগের রায়হান চৌধুরী ও হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে খুন হন ওমর আলী মিয়াদ (২৬)।  

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়না তদন্ত সম্পন্নের পর মিয়াদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন মহানগরীর শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন।  

সেখান থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে নগরীর চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করে মিছিল-সমাবেশ করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।

পরে মরদেহের গোসল সম্পন্নের জন্য পাঠানো হয় নগরীর হযরত মানিকপীর (র.) মাজারে। গোসলের পর সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর পর দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফনের পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।  

এদিকে, সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত তোফায়েলকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। সংঘর্ষের পর তোফায়েল আহতাবস্থায় পালিয়ে গেছেন। ঘটনার পর পরই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তোফায়েলের ভাই ফখরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী মিয়াদ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের অনুসারী এবং খুনের দায়ে অভিযুক্ত তোফায়েল জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী গ্রুপের অনুসারী।  

সিলেটের শহরতলীর বালুচর এলাকার আকুল মিয়ার ছেলে ওমর আলী মিয়াদ লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।