ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘অতীতে এজলাসে বসে প্রধান বিচারপতি জানলেন তিনি নেই’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
‘অতীতে এজলাসে বসে প্রধান বিচারপতি জানলেন তিনি নেই’ ‘এজলাসে বসে প্রধান বিচারপতি জানলেন তিনি নেই’ ছবি: পিআইডি

ঢাকা: বিভিন্ন সময় সামরিক সরকারসহ বিগত বিএনপি সরকারের সময় বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই সভাপতিত্ব করেন।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রায় সব সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের দায়িত্ব দেশের মানুষের উন্নয়ন করা, কল্যাণ করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একটা দেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি করা যায় এবং দেশের মানুষ যে এর সুফল পেতে পারে এটাই কিন্তু প্রথম এ দেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পারলো।  

তিনি বলেন, এর আগে সামরিক শাসন জারির সময় সারা রাত কার্ফিউ থাকতো। .. ওই কার্ফিউ দিয়ে দেশ চালানো। মার্শাল অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন থেকে শুরু করে নানা ধরনের ঘটনা এদেশে ঘটে গেছে। সেখানে বিচার বিভাগ, প্রশাসন অথবা জাতীয় সংসদ সব কিছু কুক্ষিগত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মনে আছে যে উচ্চ আদালতে বিচারকদের বয়স আমাদের সংবিধানে ৬২ ছিল। পরে সেটাকে ৬৫ করা হয়েছিল। এরপর সেটাকে আবার কমিয়ে দিয়ে ৬৫ থেকে ৬২ করিয়ে দিয়ে বিচারক বিদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এ ধরনের খেলা কিন্তু একবার না, অনেক বার এ ঘটনা ঘটে। জিয়াউর রহমান এ ঘটনা ঘটায়।

তিনি আরও বলেন, আবার এজলাসে প্রধান বিচারপতি বসে আছেন, তিনি জানেনও ন‍া যে তিনি আর নেই। পাশে থেকে একজন বললো আপনি আর নেই..। তিনি নাই হয়ে গেলেন। তাকে বিদায় করা হয়েছে। অপর আরএকজন বিচারপতিকে রাষ্ট্রদূতের চাকরি দিয়ে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু তাই না, ১৯৯৬ সালে আমরা সরকারের আসার পর থেকে যতজন বিচারক নিয়োগ দিয়েছিলাম একই দিনে তাদের ১০ জন বিচারককে পত্রপাঠ বিদায়, এরপর আবার ৬ জনকে, এরপর আরও ৫ জনকে বিদায় দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সময়ে নিয়োগ দেওয়া সবই বিদায়, একজন দুইজন পরে রিট করে ফিরে এসেছেন। এ জাতীয় ঘটনাও ঘটেছে।  

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রশাসনে দলীয়করণ হয়েছিলো চরম পর্যায়ে। কোনো নিয়ম ছিল না। যা হুকুম দিতেন সেটাই পালন করা হতো। সেরকম একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে ভোট কারচুপির মাধ্যমে কোনো মতো কাউকে বসিয়ে দিয়ে তামাশা করা হয়েছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হলো যে, যারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধী ছিল তাদের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে তাদের হাতেই পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল।  

আত্মস্বীকৃত খুনীদের সংসদ সদস্য করা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় লাখো শহীদের রক্তে পাওয়া পতাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এমইউএম/এসকে/এমআরএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।