ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

কূটনৈতিক ব্যর্থতায় রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রকট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৭
কূটনৈতিক ব্যর্থতায় রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রকট ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

তিনি বলেছেন, সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রকট হয়েছে। কঠোরভাবে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিকভাবে আলোচনা করতে পারলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যেত।

 

শনিবার (০৭ অক্টোবর) ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান কোন পথে ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভার প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গারা বেশিদিন থাকলে দেশে বহুমাত্রিক সমস্যা সৃষ্টি হবে। ভৌগলিক সীমারেখায় সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হবে। তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদে ব্যবহার হবে।  

‘তাই এখনই বিশ্বব্যপী জোর কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ’ 

তবে বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে এ সঙ্কট সমাধানে সফল হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।  

আগামীতে দেশে জনগণের সরকার ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান  ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।  

এ সময় প্রধান বিচারপতিকে জোরপূর্বকভাবে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।  

ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, অসুস্থ হলে প্রধান বিচারপতি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলেন কীভাবে? ভিসার জন্য অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনে গেলেন কীভাবে? উচ্চ আদালত নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার এসব করেছে।  

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা বেগম। এ সময় সুপ্রিম কোটের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মারুফ হোসেন, ২০ দলীয় জোট নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭
এসই/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad