ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ঢেলে সাজানোর তাগিদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৭
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ঢেলে সাজানোর তাগিদ বিএনপির লোগো

নারায়ণগঞ্জ: দলে নানা রকমের অস্বস্তি, সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকাসহ নানাবিধ স্থবিরতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন হতাশ, ঠিক সেসময় দলকে চাঙ্গা করে ঢেলে সাজানোর  তাগিদ এসেছে তাদের কাছে।

কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগরের নেতাদের কাছ থেকেই এই গ্রিন সিগন্যালটি পেয়েছেন তারা। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া দেশে ফিরলেই এ পুনর্গঠন সম্পন্ন হবে বলে দলের কেন্দ্রীয় কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

জানা যায়, দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টিকারী, নিষ্ক্রিয় ও সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত নেতাদের এবার কোণঠাসা করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দলের হাই কমান্ড।

তবে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল এর আওতামুক্ত।

দলের কেন্দ্রীয় একটি সূত্র জানায়, দেশের বাইরে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলকে চাঙ্গা করতে নানা ইস্যু নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছেন। এসবের মধ্যে একটি ইস্যু ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটির ব্যর্থতা খুঁজে বের করে দলকে ঢেলে সাজানো। এই এজেন্ডায় আলোচনা করেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ​দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে নানা অভিযোগ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আসতে থাকে। এসব অভিযোগ মহাসচিবের কাছেও যায়। দলীয় প্রধানের কাছেও এসব অভিযোগের নথি পাঠানো হয়। দলীয় প্রধান দেশে এলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।  

উল্লেখ্য, জেলা বিএনপির ২৩ সদস্যের মহানগর কমিটিতে সহ-সভাপতি হলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিদ্রোহী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম সরদার, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী নূরউদ্দিন, বিলুপ্ত নগর কমিটির সহ সভাপতি জাকির হোসেন, আইনজীবী নেতা সরকার হুমায়ূন কবির, ফখরুল ইসলাম মজনু, বেগম আয়েশা আক্তার।

যুগ্ম সম্পাদক ২জন হলেন আজহারুল ইসলাম বুলবুল ও মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সাংগঠনিক সম্পাদক তিনজন হলেন আবদুস সবুর খান সেন্টু, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, মাহাবুবউল্লাহ তপন। কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির। দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ও প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান।

আর ২৬ সদস্যের জেলা কমিটিতে সহ-সভাপতি হলেন শাহ আলম, খন্দকার আবু জাফর, জান্নাতুল ফেরদৌস, শাসমসুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, আজহারুল ইসলাম মান্নান, আবদুল হাই রাজু, মনিরুল ইসলাম রবি, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ ও লুৎফর রহমান।

যুগ্ম  সম্পাদক লৎফর রহমান খোকা, এম এ আকবর। সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না, মাসুকুল ইসলাম রাজীব।

সহ সাংঠনিক সম্পাদক উজ্জল হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান ও রুহুল আমিন। সদস্য পদে সাবেক এমপি রেজাউল করীম, গিয়াসউদ্দিন, বদরুজ্জামান খান খসরু, নজরুল ইসলাম আজাদ, আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া।

বাংলাদেশ সময়:২১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৭
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।