ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিএনপি

ঐক্যের ডাকে সাড়া না দেওয়া আ’লীগের ব্যর্থতা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
ঐক্যের ডাকে সাড়া না দেওয়া আ’লীগের ব্যর্থতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ফটো)

ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া না দেওয়ার বিষয়টিকে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।
 
প্রয়াত কাজী জাফর আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)।


 
তিনি বলেন, এর আগেও রোহিঙ্গারা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দু’বার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলো। তৎকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীকালে খালেদা জিয়া তাদের আশ্রয় দিয়ে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।
 
‘এবারও বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডন থেকে বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে পরবর্তীতে ফেরত পাঠানোর কথা বলেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আজকে এই জিনিসগুলো উপলব্ধি করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা- এই বিষয়ে এখনও কোনো জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে পারেনি। ’
 
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হবে কী করে? বিএনপি তো সত্যিকার অর্থের একটি জনপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল। কোনো কিছুর বিনিময়ে বিএনপি নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেবে না
 
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডকে কেন গণহত্যা বলেননি? মিয়ানমারের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাননি? দেখেই বোঝা যায় এখনও সেই বশংবদ রাজনীতিতে আছেন। এখনও আপনারা ভয় পান যে মিয়ানমারকে যারা সমর্থন দিচ্ছে তারা যদি বিরাগভাজন হয়ে যান! এখানেই পার্থক্যটা।
 
অন্য কোনো কারণে নয়, কেবল রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে ঐক্য করেই এই সংকট মোকাবিলা করতে সমর্থ হবো।
 
রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এটি কোন ধরনের হীনমন্যতার রাজনীতি? ভয় পান বলেই এই ধরনের কাজ করেন। এই সংকীর্ণ রাজনীতি বাদ দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সংকট মোকাবিলা করুন।
 
গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যে চীনের পাশে একসময় সারাবিশ্ব ছিলো তারা এই সংকট বুঝতে পারছে না। যে ভারত একাত্তরে আমাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতা দেখিয়েছে, তারাও এই সংকট বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে।
 
এ সময় জাতিসংঘ, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশ ও কূটনীতিকরা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছে, ত্রাণ নিয়ে আসছেন- তাদের ধন্যবাদ জানান বিএনপির মহাসচিব।
 
তিনি বলেন, চালের দাম বেড়েই চলেছে, এদিকে কোনো পদক্ষেপ নেই। উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে মেগা লুটপাট চলছে। শেয়ারবাজার, ব্যাংকসহ অন্যান্য সেক্টর লুটের পর এখন ত্রাণ লুট চলছে।
 
নকশায় দুর্নীতির কারণে পদ্মাসেতু নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
 
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- দলটির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, শিক্ষাবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপিকা রেহেনা প্রধান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আহসান হাবিব লিংকন, এস এম এ আলম, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট হোসনে আরা আহসান ও কাজী জাফর আহমেদের বড় মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।