ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

১৫ ও ২১ আগস্ট ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
১৫ ও ২১ আগস্ট ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান

যশোর: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। দু’টি ঘটনায় ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, ‘১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকেই খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

পরবর্তীতে মেজর জিয়াউর রহমান ও মেজর ডালিমসহ চক্রন্তকারীরা ৭৫’র ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন করেন। সে সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ তার দায়িত্ব পালন করেননি। তাদের সদিচ্ছা থাকলে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে এভাবে নির্মম হত্যার শিকার হতে হতো না। ’

‘এমনকি, সে সময় তারা বিচারের পথও বন্ধ করে দিয়েছিলো। সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। আজও ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সোচ্চার থাকতে হবে। কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ’

যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ আসকারি।

ইবি উপাচার্য বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীতে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের অনেক উদাহরণ আছে। সেই সব হত্যাকাণ্ডে শুধু মাত্র একজন ব্যক্তি টার্গেট ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার টার্গেট করেনি। তারা স্বপরিবারে হত্যা করেছে। মাসুম বাচ্চা শিশু রাসেলও রেহাই পায়নি। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলো গভীর ষড়যন্ত্র।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ একইসূত্রে গাঁথা। সেখানে তৃতীয় কোন পক্ষের অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শোকাবহ আগস্ট পালন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ মিজানুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুনিবুর রহমান, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেলালুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাজ্জাদুল আলম রনি, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত কুমার বিশ্বাস, শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সভাপতি সুমাইয়া আজমিরা এরিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা,  আগস্ট ২১, ২০১৭
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।