ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

মহাসচিব সাহেব, ধীরে আরও ধীরে...

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
মহাসচিব সাহেব, ধীরে আরও ধীরে... পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনায় ওবায়দুল কাদের/ ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাকিস্তানে একটা ঘটনা ঘটলেই বাংলাদেশের একটা দল তা নিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে। দলের নেতাদের সঙ্গে কর্মীরাও জগাই-মাধাই সেজে শুরু করে দেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসচিব সাহেব, ধীরে, ধীরে আরও ধীরে। এটা বাংলাদেশ, এটা পাকিস্তান নয়!

রোববার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

 

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতি উৎসাহী আওয়ামী লীগার হবেন না। আপনার কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলিসি বাস্তবায়ন করা।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে। খুন আরেকটা খুনকে আমন্ত্রণ করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যদি জিয়াউর রহমান পুনর্বাসন না করতো তাহলে তাকেও আরেকটা চক্রের হাতে খুন হতে হতো না।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে বুলেট শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুলেট আপনাকে বিধবা করেছে। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের কারোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত ছিল তাদের কারোই এখনও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাই বলছি একটা খুন আরেকটা খুনকে ডেকে আনে।

৪২ বছর পরেও ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাঙালির তীর্থস্থান, টুঙ্গিপাড়া এখন তীর্থকেন্দ্র। এই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করবে কে? ৭৫ পরবর্তী সময়ে বার বার ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছে। আজ ইতিহাস কী বলছে? বঙ্গবন্ধু বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী। মহাকালের কলম যার নাম লিখে যায়, তার নাম মুছে দেওয়ার সাধ্য কারো নাই, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

আপনারা কার সঙ্গে কার তুলনা করেন? ইতিহাসের মহানায়কের সঙ্গে খলনায়কের তুলনা হয় না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গর্ব করেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে আছেন কথায় কথায় পুলিশকে দোষারোপ করেন, যে তারা চাঁদা নেয়। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে আগে রাজনীতিকে ঠিক করতে হবে। অনেক সময় পুলিশ অসহায়, তাদের কিছু করার থাকে না।

দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে কাউকে ছাড় না দিতে পুলিশ বাহিনীকে আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।