ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

বিতর্ক নিরসনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কাদেরের সাক্ষাৎ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
বিতর্ক নিরসনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কাদেরের সাক্ষাৎ ‘সতীর্থ-স্বজন’ আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তারা/ ছবি: শাকিল

ঢাকা: ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা দ্রুত নিরসনের জন্যই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘সতীর্থ-স্বজন’ আয়োজিত ‘তিনিই বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমাদের সাধারণ সম্পাদকের দেখা করা নিয়ে অনেকে রাজনীতি করছেন, নানা কথা বলছেন, বিতর্ক করছেন।

এ নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই। যখন যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরীর পরিবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে, তখন তো কোনো কথা বলেন না!

হানিফ বলেন, রায়ে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস একটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি ও বিতর্ক দ্রুত নিরসনে ওবায়দুল কাদের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। অন্য কিছু নয়। কারণ, আওয়ামী লীগ আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।

ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে হানিফ বলেন, এ রায় নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। রায় নিয়ে কিছু রাজনীতিক হঠাৎ করে খুশি হয়ে গেলেন। যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা কী করে এ রায়ে খুশি হতে পারেন! সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যদের হাত থেকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে জনগণের ক্ষমতাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ, এ ক্ষমতা যতোদিন সংসদের হাতে ছিলো ততদিন এই ক্ষমতা প্রযোগের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ ১৯৭৭ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অধীনে এ ক্ষমতা যাওয়ার পরই নানাভাবে বিচার বিভাগকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তান ও তাদের পশ্চিমা দোসররা বাংলাদেশকে পাকিস্তান ফেডারেশনের অংশ করতে চেয়েছিল। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে অংশ নিয়ে জুলফিকার আলি ভুট্টো সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানেরই অংশ হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমেই তারা তা করতে চেয়েছিল। তাদের এই ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিলো এ দেশেরই কিছু ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতক।

হানিফ বলেন, আমরা এখনো সব বিশ্বাসঘাতক ও আত্মস্বীকৃত খুনির রায় কার্যকর করতে পারিনি। তারা বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। তাদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। যেসব দেশ তাদের আশ্রয় দিয়েছে, তাদের কাছে অনুরোধ আত্মস্বীকৃত খুনিদের জন্য কোনো মানবতা থাকতে পারে না। যদি সত্যিকারের মানবতাপ্রেমী হন তবে আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফিরিয়ে দিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখান।

আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস একটি মীমাংসিত বিষয়। পর্যবেক্ষণে অযাচিতভাবে এ বিষয়ে কথা বলে বিতর্ক তৈরি করা হলো। এটা কার স্বার্থে? অ্যামিকাস কিউরির সদস্যরা তো এ কথা বলেননি, যোগ করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।