ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

ষোড়শ সংশোধনী রায়ের কিছু অংশ অপ্রাসঙ্গিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৭
ষোড়শ সংশোধনী রায়ের কিছু অংশ অপ্রাসঙ্গিক

ঢাকা: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী রায়ের কয়েকটি পর্যবেক্ষণ আপত্তিকর ও অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

বুধবার (০৯ আগস্ট) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সভাপতি মন্ডলির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এ কথা জানান।  

ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের উত্তর দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর কয়েকটি পর্যবেক্ষণ আপত্তিকর। রায়ের সঙ্গে এসবের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। তবে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। কিন্তু বিএনপি ভিন্ন উদ্দেশে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের প্রতিপক্ষ বানাতে চাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে মতিন খসরু বলেন, আপিল বিভাগের রায় নিয়ে কখনও বিতর্ক এবং রাজনীতি চলে না। রায় নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না, কিন্তু বিএনপি রাজনীতি করছে। তাদের কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই বলে এটাকে বানানো হচ্ছে। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির কতিপয় নেতারা এ রায় বিকৃত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তারা রাজনীতি করতে চায়।

তিনি বলেন, রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তারা রাজনীতি করতে চায়, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এটা করছে। বিএনপির ফখরুল ইসলাম, মওদুদ সাহেবসহ কয়েকজন নেতা ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন।

সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কখনো রাজনীতি চলে না। আমাদের বক্তব্য পরিস্কার। আমরা রায় নিয়ে দলগতভাবে পর্যালোচনা করছি। দলীয়ভাবে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেবো এই রায়ের রিভিউ করবো কি না।
এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল মতিন খসরু বলেন,  রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ আছে- একটা বিচারবিভাগ, একটা নির্বাহী বিভাগ এবং অন্যটি আইনসভা। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের সম্পর্কই সহায়ক, পরিপূরক। আইনসভার কাজ আইন প্রণয়ন করা। এ আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা বিচার বিভাগের নেই। বিচার বিভাগের দায়িত্ব ন্যায় বিচার করা।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যকে তার ব্যক্তিগত বলে মন্তব্য করেন আব্দুল মতিন খসরু।

সংবাদ সম্মেলনে এই রায়ের বিষয়ে আরও কথা বলেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট স. ম. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বিএনপিকে আদালতের সুওমোটো করা উচিত। কার নেতৃত্বে স্বাধীনতা হয়েছে সে ব্যাপারে সংসদ অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আদালতের এ ধরনের পর্যবেক্ষণ অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত ও অপ্রাসঙ্গিক। এ ধরনের মন্তব্য কাম্য ছিল না। এই অনভিপ্রেত পর্যবেক্ষণকে ইস্যু করে ও রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের বক্তব্যে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, একজন ব্যক্তিকে ঘিরে স্বাধীরতার নেতৃত্ব নিয়ে যে প্রসঙ্গটি রায়ে উঠে এসেছে সেটি অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত। একজন রাজাকারও বলবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। অনভিপ্রেত কথা কোনো ভাবে কাম্য ছিল না। এটাকে ভর করে রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে বিএনপি।

বিএনপি বলেছে এ সরকার বেআইনী। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই ওপেন ডিবেটে আসুন। আদালত কোনো জায়গায়, কোনো বিধানে বলেছে সরকার বেআইনি। আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম বিএনপি এর উত্তর দিতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।