ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

টাঙ্গাইলে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
টাঙ্গাইলে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০ ছবি-বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

টাঙ্গাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলাকালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক ও কয়েকটি ছুরিসহ একটি প্রাইভেটকার জব্দ করেছে।

রোববার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলমের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদ্য গঠিত জেলা বিএনপির পদবঞ্চিত অংশের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে হামলা করে। এসময় সভাস্থলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

ছবি-বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কমখবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ ও চার রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ এবং ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এসময় পুলিশ প্রেসক্লাব কমিউনিটি সেন্টার থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বের করে দেয়।

সংঘর্ষ চলাকালে টাঙ্গাইল সদর থানার উপ পদির্শক (এসআই) আল মামুন ও কনস্টেবল ইসরাফিলসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহত দুই পুলিশকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ব্যস্ততম সড়কটিতে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।  

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘বিএনপি নামধারী কিছু নেতা সরকারি দলের সহায়তায় পুলিশের ছত্রছায়ায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে হামলা করেছে’।
 
অপরদিকে জেলা বিএনপির ঘোষিত কমিটির পদত্যাগী সহ সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এক তরফাভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পকেট কমিটি আয়োজিত কর্মসূচিতে বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল। তখন পকেট কমিটির লোকজন বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করে’।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূইয়া বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ কোনো পক্ষকে সহায়তা করেনি। সংঘর্ষে লিপ্ত উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এসময় ১১জনকে আটক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মে শামছুল আলমকে সভাপতি এবং ফরহাদ ইকবালকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। শামছুল আলম সাবেক উপমন্ত্রী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামি আব্দুস সালাম পিন্টু এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর ভাই। বিদ্রোহী পক্ষের অভিযোগ সুলতান সালাউদ্দিন কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে তার ভাইকে সভাপতি করেছেন ও তাদের অনুসারিদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন।

এদিকে, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এই কমিটি বাতিলের দাবিতে চারজন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটি যে কর্মসূচি নেবে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ২৩ জুলাই, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।