ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

ফখরুলের বহরে হামলা করেছে উত্তেজিত জনতা: হাছান মাহমুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ফখরুলের বহরে হামলা করেছে উত্তেজিত জনতা: হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ- ছবি- শাকিল

ঢাকা: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উত্তেজিত স্থানীয় জনতা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘একজন সত্যিকারের মুসলমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা জেনেছি বিএনপির মহাসচিবের গাড়িবহরের ধাক্কায় দুইজন স্থানীয় গুরুতর আহত হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনতার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের কথা কাটাকাটি। এর এক পর্যায়ে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়।  

এছাড়া চট্টগ্রাম ও রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরে গ্রুপিং চলমান। আমরা যতটুকো জেনেছি, মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে এক গ্রুপের নেতারা থাকলেও অন্য গ্রুপের নেতারা ছিলেন না। এছাড়া চট্টগ্রামের রাউজান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাকা চৌধুরী জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তার পরিবারের কোনো সদস্যও ফখরুলের গাড়িবহরে ছিলেন না। এসব গ্রুপিংয়ের কারণেও তার (ফখরুল) গাড়িবহরে হামলা হতে পারে।  

মির্জা ফখরুলের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আরো বলেন, এক সপ্তাহে আগে পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। এক সপ্তাহে ধরে বিএনপির কোনো স্থানীয় বা কেন্দ্রীয় নেতা ওইসব এলাকা পরিদর্শন বা ত্রাণ নিয়ে যাননি। কিন্তু এখন যখন ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজ প্রায় শেষ তখন বিএনপির নেতারা দুর্গত এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দেন এবং হামলার ঘটনা ঘটে। এখন তারা ঘটনাটিকে বড় সংবাদ বানানোর চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করার চেষ্টা করছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক একইসঙ্গে রহস্যজনক মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, তাদের গাড়িবহরে কোনো ত্রাণ সামগ্রী ছিল না। এছাড়া প্রশাসনকে আগের দিন যেই রাস্তা দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সেই রাস্তা তারা ব্যবহার করেনি। প্রশাসনের সঙ্গেও তারা কোনো সমন্বয় করেনি। তাদের এসব কর্মকাণ্ড রহস্যজনক। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সব কিছু বের করা হবে।

আয়োজক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি অ্যাড. আসুজ্জামান দুর্জয়, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বলরাম পোদ্দার ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব হুমায়ুন কবীর মিজি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুন ১৯,২০১৭
এমএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।