ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

‘হকারদের তুলে দিয়ে সুবিচার করা হয়নি’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
‘হকারদের তুলে দিয়ে সুবিচার করা হয়নি’ বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ-ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিকল্প ব্যবস্থা না করে ঢাকা মহানগরীর হকারদের তুলে দিয়ে তাদের প্রতি সুবিচার করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী হকার্স লীগের ১৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হকারদের পক্ষে, মেহনতি মানুষের পক্ষে কথা বলে।

কিন্তু হঠাৎ করে শৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে হকারদের রুটি-রুজির ওপর আঘাত করা হয়েছে। এতে ৪-৫ লাখ পরিবার কষ্টে দিন কাটাচ্ছে’।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘হকাররা খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ। আওয়ামী লীগ এই মেহনতি মানুষের ভোটের সরকার। পৃথিবীর উন্নত সব দেশের মতোই (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য) ঢাকা মহানগরীর ১০০টি ওয়ার্ডে ১২০-১৩০টি হলিডে মার্কেট চালুর প্রস্তাব করছি’।

তিনি বলেন, ‘হকারদের জন্য রাস্তায় বন্ধের দিনে হলিডে মার্কেট অথবা দিনের একটি নির্ধারিত সময়ে মার্কেট চালু করা উচিৎ। এক্ষেত্রে যে রাস্তায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত কম, সেই রাস্তা বন্ধ করে ব্যবসা করা যেতে পারে। তা না হলে হকারদের প্রতি সুবিচার করা হবে না’।

‘কারণ, দুর্দিনে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে ছিলেন। সে সময় হকাররা আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়ে অবদান রাখেন’।

তিনি বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগ সরকার মেহনতি মানুষের পক্ষে কাজ করে, অন্যদিকে বিএনপি সরকার মেহনতি মানুষকে পোড়ায়। বিএনপি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে ৭০ জন ড্রাইভারের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোটর চালক শ্রমিক লীগ তৈরি করেছেন। সেই সংগঠনের দেখ-ভাল তিনি নিজেই করেন’।

প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠনের পর শ্রমিকদের মজুরি চারগুণ বাড়িয়েছেন। আগামী বাজেটের পর আরো বাড়ানো হবে বলেও জানান হাছান মাহমুদ।

আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নিয়ে আতঙ্কে আছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নিয়ে আতঙ্কে নেই। আসলে বিএনপিকে নিয়ে জনগণ আতঙ্কে আছে। কারণ, ফখরুল বলেন, আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে। বিএনপির যুদ্ধ মানেই তো আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা’।

জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার চোরাবালিতে ডুবে গেছে বলে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নিজেদের খোঁড়া গর্তে পড়েছে। গর্তের ভেতর থেকে চোরাবালিতে পড়েছে। বিএনপিকে নিয়ে আমাদের টেনশন নেই, টেনশনে আছে জনগণের’।

ঈদের পরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে সংবিধান সহায়ক সরকারের রুপরেখা ঘোষণা করা হবে বলে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে সংবিধান সহায়ক সরকারের রুপরেখার কোনো স্থান নেই। নকল ভিশন এবং সংবিধান সহায়ক রুপরেখায় কোনো কাজ হবে না। আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে। ওই সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’।

সংগঠনের সভাপতি এস এম জাকারিয়া হানিফের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, মে ২৯ ২০১৭
এমএফআই/এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad