ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

পদত্যাগের প্রশ্নে অবদান তুলে ধরলেন শাজাহান খান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
পদত্যাগের প্রশ্নে অবদান তুলে ধরলেন শাজাহান খান আলোচনা সভায় শাজাহান খান-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: একসঙ্গে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলে শাজাহান খানের পদত্যাগ দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী।

শনিবার (২৭ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিকনেতা হিসেবে নিজের অবদান তুলে ধরেন শাজাহান খান।  

মন্ত্রী বলেন, ‘৪৬ বছর ধরে পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন করি।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। বর্তমানে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে আছি। কোনো আইনে কি আছে যে, শ্রমিক সংগঠন করলে মন্ত্রিত্ব করা যাবে না?’ 

গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১২ দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে শাজাহান খান ও মশিউর রহমান রাঙার পদত্যাগ চেয়েছিলেন ইনসুর আলী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে মন্ত্রী তারা বানাননি। পরিবহন সেক্টরে আমি কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে বসিনি’।

তিনি বলেন, ‘যারা আজ আমার পদত্যাগ চাচ্ছেন, তারা কেন ২০১৩ সালে যারা গার্মেন্টসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে, তা বন্ধ করতে পারেননি? ওই সময় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এসবের নিরসন করতে’।  

‘আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, সেদিন ৫২টি ফেডারেশনকে একত্রিত করতে পেরেছিলাম। ২০১৩ সালের ০২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষাধিক শ্রমিক জড়ো করে সমাবেশ করেছিলাম। সেখানে জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলাম’- বলেন শাজাহান খান।  

তিনি বলেন, ‘হেফাজতের আমির নারী শ্রমিকদের নিয়ে যে কটূক্তি করেছিলেন, তার প্রতিবাদে আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৫ হাজার ৩শ’ টাকা করেছেন। ২০১৫ সালে জামায়াত-বিএনপি দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করলো। তখনও প্রধানমন্ত্রী আমাকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে যেখানে গাড়ি জ্বলেছে, সেখানেই ছুটে গিয়েছি। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে শ্রমিকরা জীবন দিয়েছেন। ওইসব শ্রমিকরা এ যুগের মুক্তিযোদ্ধা’।

মন্ত্রী বলেন, ‘যে ধারা-উপধারাগুলো সড়ক পরিবহন মালিকদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, সেগুলো আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করার কথা মন্ত্রিসভায় বলেছি। এতে আমার কোনো অন্যায় হবে? একজন মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব কথা আমি বলতেই পারি। শুধু এগুলো নয়, আরও অনেক অগ্রহণযোগ্য আইন আমি প্রধানমন্ত্রীকে গ্রহণযোগ্য করতে বলেছি’।

তিনি বলেন, ‘যারা আমার পদত্যাগ চান, তাদের সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সর্ম্পকটা কি? পরিবহন মালিক বা শ্রমিকের ওপর ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন। বাড়ি-ঘর বিক্রি করলেও একজন শ্রমিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে পারবেন না। সেখানে সাজা হবে না- এমনটি বলা হয়নি। সাজার বিধানটা একটু কমানো হয়েছে’।  

শ্রমিক-মালিকদের নিয়ে অকারণে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান নৌ-মন্ত্রী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসই/আরআর/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।