ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অন্যান্য দল

‘আওয়ামী লীগ ধর্মের নামে রাজনীতি করছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
‘আওয়ামী লীগ ধর্মের নামে রাজনীতি করছে’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সোনার বাংলা পার্টি আয়োজিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন,মাহমুদুর রহমান মান্না- ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: আওয়ামী লীগ ধর্মের নামে রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সোনার বাংলা পার্টি আয়োজিত ‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার ঘোষণা দিবস স্মরণ ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

মান্না বলেন, ‘একদিকে দেশের একটি বৃহত্তম ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের (জামায়াতে ইসলামী) প্রধান নেতাদের রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী বলে বিচার করেছে সরকার।

অন্যদিকে সরকার আগামী নির্বাচনে ধর্মীয় ভোটগুলোকে কাছে টানতে একটি ধর্মীয় দল গঠন করছে। তাই তাদের দাবি মনেতেই হাইকোর্টের ভাস্কর্য ঢেকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে-ই-হাদিসকে মাস্টার্সের (স্নাতকোত্তর) মর্যাদা দিয়েছেন। এটাই ধর্মের নামে রাজনীতি। ’

‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের দল নয়’ বলেও মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান মান্না।  

সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে উল্লেখ্য করে ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, ‘সংবিধানে পাঁচ বছরে একবার জনগণের অধিকার দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার এই অধিকারও হরণ করেছে। তাই জনগণের স্বার্থে সময় উপযোগী সংবিধান করতে হবে। এই সংবিধানে গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটি অমর্ত্য সেনের ভাষার গণতন্ত্র হতে হবে’।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে জনগণ পছন্দ করেনা উল্লেখ্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দুটি দলকে সরাতে চায় জনগণ। কিন্তু তার বিকল্প বলুন, তৃতীয় শক্তি বলুন এই শক্তির নেতৃত্ব দেখতে পাচ্ছে না জনগণ। তাই আসুন আমরা সবাই এক সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেতৃত্ব দেই’।

‘সরকার দলীয় মন্ত্রীদের নেতৃত্বে গত তিনদিন ধরে দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় যে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে, তা রোধে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঠে মাঠে ছুটেছেন। কিন্তু তিনি জনগণের পক্ষে থাকতে পারেনি। আমি বলি যে সরকার শত ঝুঁকি নিয়ে দেশের আত্মঘাতি জঙ্গি দমন করতে পারে, সেই সরকার জনগণের স্বার্থে বাস মালিকদের সঙ্গে পারছে না। বাস মালিকরা থলের বিড়ালের মতোই হয়ে গেলা। এরা সবাই সরকারি দলের বাস মালিক।

ভারত আমাদের বন্ধু উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, পাকিস্তান ভারতের শত্রু কিন্তু পাকিস্তানের নদীর পানির ভাগতো ঠিক করে নিয়েছেন। পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানের সঙ্গে সীমান্তের কোনো নাগরিকে হত্যা করা হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করে কাঁটা তারে ঝুঁলিয়ে রাখা হয় কেন? ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করতে পরেনি। অথচ প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। এটা সরকারের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার কারণে কিছু দিন পর ভারত বাংলাদেশের ঘাড়ে পা দিয়ে পা টিপে দিতে বলবে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।

সংগঠনের সভাপতি শেখ আব্দুর নূরে’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-উর-রশিদের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাধারণ সম্পাদক নয়িম জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট তাসলিমা রানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
এমএফআই/জিপি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।