ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিমর্ষ এরশাদ কোনো কথা বললেন না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
বিমর্ষ এরশাদ কোনো কথা বললেন না আদালতে সব সময় বিমর্ষ ছিলেন এরশাদ। ছবি: শাকিল

ঢাকা: বিমানের রাডার কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলাটির রায় দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।

এ রায়ে খালাস পেয়েছেন মামলার অন্য দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও।

চার আসামির অন্যজন একেএম মুসা অনেক আগেই মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিকেল পৌনে চারটার দিকে রায় শুনতে আদালতে আসেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ। এজলাসকক্ষে ঢোকার পর থেকে বিমর্ষ ছিলেন তিনি। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আদালতের রায় ঘোষণাকালে মুখভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি তার। পুরো সময়টুকুতে একবারের জন্য হাসতেও দেখা যায়নি এরশাদকে।

আদালত খালাসের রায় দেওয়া শেষ করার পর তার আইনজীবী ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে উঠলেও এরশাদ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। পরে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও কোনো কথা না বলে গাড়িতে উঠে আদালত প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন তিনি।    

এরশাদের সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।

শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, মামলাটি মিথ্যা ছিল। তৎকালীন সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করেছিল’।  

দুদকের আইনজীবী আব্দুস সালাম রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে এ মামলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দীর্ঘ ২৫ বছর আগে বিএনপির প্রথম সরকারের সময়কালে ১৯৯২ সালে মামলাটি দায়ের করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বিমান বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার কেনার আবেদন জানান। জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুইটি লো লেভেল রাডার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
 
কিন্তু পরে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অন্য আসারিরা পরস্পরের যোগসাজসে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে তারা রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি ৪ ল‍াখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমআই/এএসআর

**
রাডার দুর্নীতি মামলায় এরশাদ খালাস
** এরশাদ আদালতে
** এরশাদের রাডার দুর্নীতি মামলার রায় দুপুরে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।