ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জবির নির্মাণাধীন হলে ছাত্রলীগের কমিটি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
জবির নির্মাণাধীন হলে ছাত্রলীগের কমিটি!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নির্মাণাধীন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও এতে কমিটি দেওয়ার তোর-জোর শুরু করেছে জবি শাখা ছাত্রলীগ।

এছাড়া পরিত্যক্ত সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলেও ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়।

জবি শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতারা শেষ মুহূর্তে এসে বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ, ছাত্রীহল, পোগোজ স্কুলসহ নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত হলের কমিটি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

জানা যায়, নির্মাণাধীন জবির বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ আগামী ২০১৮ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কাজের ধীর গতির কারণে সময় মতো কাজ শেষ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। অর্থাৎ, সময় মতো কাজ শেষ করলেও এখনো একবছর তিন মাসেরও বেশি সময় লাগবে। অন্যদিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের নেই নূন্যতম অবকাঠামো। কিন্তু এরই মধ্যে হলে ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে জীবন বৃত্তান্ত।

শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের ছাত্রী কর্মী খুবই কম। হাতে-গোণা কয়েক জন। তবে যারা জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে, তাদের সংখ্যা প্রায় ৩০ এর অধিক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বর্তমান কমিটির এক সহ-সভাপতি বলেন, যারা জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে তাদের অনেকের সঙ্গে বর্তমান কমিটির নেতাদের গোপন সখ্যতা রয়েছে। শেষ সময়ে বর্তমান নেতারা তাদের লোকদের বিভিন্নভাবে হলে প্রতিষ্ঠিত করে দিতে চাচ্ছেন। এই হল কমিটি নিয়ে হতে পারে এক ধরনের সিন্ডিকেট কারচুপি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরিফুল বাংলানিউজকে বলেন, হলে কমিটি দেওয়ার বিষয়টি আমাদের কার্যনির্বাহী সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।

নির্মাণাধীন হলে কিভাবে কমিটি দেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন তাদের জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে রাখছি, কার্যনির্বাহী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জবিতে হল নির্মাণের আগে কীভাবে কমিটি হতে পারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শাখা ছাত্রলীগ তো কমিটি দিতেই পারে কারণ যারা হলে থাকবে তাদের বিষয় ছাত্রলীগ জানে।

সাধারণত যারা হলে থাকেন তাদের নিয়েই হলে কমিটি হয়, তাহলে কারা হলে স্থান পাবে এটা ছাত্রলীগ নেতারা অগ্রিম জানেন? এর উত্তরে জাকির হোসেন বলেন, আমি এই বিষয়টি সম্পর্কে তেমন জানি না। তাদের কাছ থেকে জেনে আপনাকে জানাব।

জবিতে কবে নাগাদ হল হবে জানতে চাইলে জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আশা করি আমরা সময়মতো ছাত্রীহলটি বুঝে পাবো অর্থাৎ আগামী ২০১৮ সালের জুনে আমরা এই হল পাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
ডিআর/জিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।