ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নির্বাচনী ইশতেহার হচ্ছে, প্রস্তুতি নিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
নির্বাচনী ইশতেহার হচ্ছে, প্রস্তুতি নিন দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকের সূচনা বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আগামী নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সভা কক্ষে শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

এসময় তিনি নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টানা আট বছর ক্ষমতায় থাকায় এবার আরও ‘কঠিন পথ’ পাড়ি দিতে হবে তাদের।

আগামী নির্বাচনের জন্য দলীয় ইশতেহার তৈরি করতে বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা ‘সেল’ গঠনের জন্য উপদেষ্টামণ্ডলীকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর তিন বছর পূর্ণ হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা তিনবছর পূর্ণ করে চার বছরে পা দিয়েছি। একটানা আট বছর। কাজেই এখনকার পথ হবে আরও কঠিন পথ। আমাদের যে কাজগুলি আছে সেগুলি শেষ করতে হবে, যাতে দেশের মানুষ ভালো থাকে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় কার্যালয়ে ঢুকে প্রথমেই অঙ্গ-সহযোগী ও পরে অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। পরে দলের কাযনির্বাহী সংসদের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করেছিল ‘তার থেকে বেশি কাজ হয়েছে’। এবার তিন বছরে নির্বাচনী ইশতেহারের ওয়াদা বাস্তবায়নেও তার দল এগিয়ে আছে।

‘এটাই আওয়ামী লীগ- আমরা যা বলি তা করি, করতে পারি। আমাদের রাজনীতি জনগণের জন্য। যা করি জনগণের স্বার্থে। ’

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার প্রণয়নের বিষয়ে এখনই চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত ইতোমধ্যে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি। অনেকগুলি কিন্তু হয়ে গিয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে কী কী করণীয় এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, যেখানেই যাই অন্য দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা বাংলাদেশের ‘দ্রুত উন্নয়ন’ কীভাবে হল তা জানতে চান। রাজনীতিতে একটা কথা মনে রাখতে হবে, দেশের কথা চিন্তা করে, মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা রাজনীতি করি। মানুষের কল্যাণে কাজ করছি, কাজ করব-এই চিন্তাটা যদি মাথায় থাকে, নীতিটা যদি ঠিক থাকে তাহলে যে কোনো চড়াই উৎরাই পার হয়ে, আমি মনে করি যে, কাজগুলো করা যায় এবং যে কোনো অর্জন করা যেতে পারে।

নেতাকর্মীদের সততা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সততা না থাকলে কোনো কাজ ভালোভাবে করা যায় না।

এক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে হাত দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নতি হয় সেটা এখন মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।

প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে নিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, লুটপাট, মানুষ খুন করা, সন্ত্রাস করা, বাংলাভাই সৃষ্টি করা, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা- এছাড়া তো বিএনপি দেশকে আর কিছু দিতে পারেনি।

নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কম আসার ব্যাখ্যায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যানজটে মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে জনস্বার্থেই কম আসা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।