ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন

রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

রাজশাহী: রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে। মহানগরীসহ জেলার ১৫টি কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার রাজশাহীতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দু’জন প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব জামান ভুলু (তালগাছ প্রতীক) এবং একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার (আনারস প্রতীক)।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনসহ জেলার ১৪টি পৌরসভা, ৯টি উপজেলা পরিষদ ও ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক হাজার ১৭১ জন জনপ্রতিনিধি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮৯৬ জন। আর নারী ২৭৫ জন। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ১৫টি কেন্দ্রের ৩০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রাজশাহীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
নির্বাচনে রাজশাহীতে চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৩২ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের পর সাধারণ সদস্য পদ নিয়ে ১৫ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদ নিয়ে পাঁচজন যাবেন জেলা পরিষদে। তবে এরই মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের এক প্রার্থী ও সাধারণ সদস্য পদের চার প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর ভোটারদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন একজন। তাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন।

নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের এলাকাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), দু’জন কন্সটেবল ও আনসার বাহিনীর একজন সশস্ত্র পিসি দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া তাদের সঙ্গে আনসার- ভিডিপির ৭ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী সদস্য রয়েছেন। প্রতি ইউনিয়নের জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত একটি একটি মোবাইল টিম, প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি উপজেলায় ৠাবের দু’টি মোবাইল টিম এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে।

মাঠে কাজ করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতও। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলার ৯ উপজেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

নির্বাচনের পর ২৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত পুরো জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যদি কোথাও সহিংসতার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানান এসপি মোয়াজ্জেম।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
এসএস/জিপি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।