ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

আ’লীগের জাতীয় সম্মেলন

সিলেটের কারা আছেন নেত্রীর ‘গুড বুকে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
সিলেটের কারা আছেন নেত্রীর ‘গুড বুকে’

সিলেট: আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে সিলেটে চলছে তুমুল আলোচনা। আধ্যাত্বিক নগরী সিলেট থেকে কেন্দ্রে কারা স্থান করে নিচ্ছেন, কারা আছেন নেত্রীর গুডবুকে? এনিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের অনুসারীদের মধ্যে চলছে নান জল্পনা-কল্পনা।

শুধু অপেক্ষার পালা। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দিকে চোখ সিলেটবাসীর। আর কেন্দ্রে পদ পাওয়ার টেনশন পিছু ছাড়ছেনা নেতাদেরও। তবে সব সিদ্ধান্ত দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরই নির্ভর করছে বলেও চলছে গুঞ্জন।  

দলীয় সূত্র জানায়, এবার বৃহত্তর সিলেট থেকে পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আবু জাহির ও কেন্দ্রীয় উপ সম্পাদক আজিজুস সামাদ ডন।

তাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই বারের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তিনি হয় হেট্রিক, নয়তো তাকে দলের যুগ্ম সম্পাদক করা হতে পারে, আশাবাদী নেতাকর্মীরা।

সিলেটের জননন্দিত সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান নেত্রীর আস্থাভাজন হিসেবে কেন্দ্রে ঠাঁই পেতে পারেন! সেই সঙ্গে ক্লিন ইমেজধারী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের নামও রয়েছে আলোচনায়।

এদিকে, হবিগঞ্জ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আবু জাহির ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের সভাপতি ডা. মুশফিক আহমদ কেন্দ্রে স্থান পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আর বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের ছেলে হিসেবে আজিজুস সামাদ ডন ঠাঁই করে নিতে পারেন কেন্দ্রে।

এর কারণ হিসেবে দলীয় সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে যারা রাজনীতি করেছেন, সেসব নেতাদের সম্মান দিতে গিয়ে দলীয় সভানেত্রী সেসব নেতাদের সন্তানদের কাউকে এমপি, মন্ত্রী বানিয়েছেন। এ কারণে আজিজুস সামাদ ডন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক পদেও হয়তো দেখা যেতে পারে! ধারণা নেতাকর্মীর।
 
তাছাড়া দলীয় সভানেত্রীর আদেশ মেনে বিগত সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান সিলেট-২ আসনে ইলিয়াস আলীকে পরাজয়কারী সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। যে কারণে এবার জাতীয় সম্মেলনে মূল্যায়ন করা হতে পারে তাকে।    

এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দলীয় সভানেত্রী আমাদের সবার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কাকে কেন্দ্রে নিতে হবে, সেটা তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। এখানে কারো তদবির করেও লাভ হবে না।  
 
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, নেত্রী সব কিছু জানেন। কারা জেলা পর্যায়ে কাজ করতেছেন তা দৃশ্যমান। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।

তবে ’৭১ এর যুদ্ধাপরাধীর বংশধর ও ফ্রিডম পার্টির বংশধররা কমিটিতে থাকতে পারবে না, দলীয় এই সিদ্ধান্তের প্রতি সহমত পোষণ করেন তিনি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বাংলানিউজকে বলেন, সিলেট থেকে অনেকেই আশাবাদ‍ী কেন্দ্রে স্থান পাবেন। তবে এটা নেত্রীর একক সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন, জঙ্গীবাদ দমন ইস্যুতে কাকে কোন স্থানে নেবেন সেটা সিদ্ধান্ত নেবেন সভানেত্রী। আমরা তার সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এনইউ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।