ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নাজমুল হুদার প্রস্তাব

আপিল বিভাগের বিচারকদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১১
আপিল বিভাগের বিচারকদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে

ঢাকা: আপিল বিভাগের বিচারকদের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা ও সুশাসনের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ প্রস্তাব দেন।



 বৈঠকটির আয়োজন করে জাগ্রত জনতা ফোরাম।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমরা আতঙ্কিত হয়েছি। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মানে আওয়ামী লীগের অধীনেই নির্বাচন। ’

তিনি বলেন, ‘তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থায় বলা হয়েছে অবসরপ্রপ্ত প্রধান বিচারপতি হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। তিনি অস্বীকৃতি জানালে আপিল বিভাগ থেকে অবসরপ্রাপ্ত সর্বশেষ বিচারপতি। তিনিও যদি অস্বীকৃতি জানান তাহলে বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে থেকে একজনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করা হবে। ’

নাজমুল হুদা বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ বিচারকদের লাঠিপেটা করে সে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে আপিল বিভাগের কোনও বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেবেন না। একই সঙ্গে কোনও বিশিষ্ট নাগরিকও দায়িত্ব নেবেন বলে মনে হয় না। তখন তারা রাষ্ট্রপতিকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমানের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। ’

তাই ওই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে নাজমুল হুদা আপিল বিভাগের বিচারকদের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের বিচারকদের সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৭ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তাদের অধীনেই হবে নির্বাচন। ’

এ সময় তিনি জনগণকে সম্পৃক্ত না করে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন করতে হলে কনস্টিটিউশন অ্যাসেম্বিলি (গণপরিষদ) গঠন করতে হবে। আর এটি করতে হলে প্রয়োজন মধ্যবর্তী নির্বাচন। ’

মধ্যবর্তী নির্বাচন কার অধীনে হবে সে প্রসঙ্গেও মতামত দেন নাজমুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘সংসদ নেতা, বিরোধী দলের নেতা, সরকারি দলের চিফ হুইপ, বিরোধী দলের চিফ হুইপ ও স্পিকারকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। এ কমিটিকে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে মধ্যবর্তী নির্বাচন। ’

জাগ্রত জনতা ফোরামের উপদেষ্টা টিএম গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ’র সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সভাপতি শহীদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব আবু নাসের মো. রহমাত উল্লাহ, বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিয়া, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।