ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জামিলের খোঁজে শীতলক্ষ্যায় নেমে নাঈমের লাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১১

গাজীপুর: শীতলক্ষ্যা নদীতে যুবদল কর্মী জামিল হোসেনের (৩৫) লাশ খুঁজতে এসে শনিবার বিকেলে ইমতিয়াজ আহমেদ নাঈম (২০) নামে অপর এক যুবদল কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছেন ডুবুরিরা।

নিহত নাঈম নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পিরিন্দার টেক গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।



প্রসঙ্গত, গাজীপুরের কালীগঞ্জের জামালপুর গুদারাঘাট থেকে শুক্রবার বিকেলে ট্রলারযোগে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলনের বাসায় যুবদলের সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ট্রলার থেকে পানিতে পড়ে ক’জন নেতা-কর্মী নিখোঁজ হন।

কালীগঞ্জ গুদারা ঘাটে পৌঁছার ঠিক আগ মুহূর্তে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।  

নাঈমের চাচা সারোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে তার বন্ধুদের সাথে কালীগঞ্জে যুবদলের সম্মেলনে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় নাঈম। এরপর আর  সে বাড়ি ফেরেনি। ’

তিনি বলেন, ‘শনিবার বিকেলে নদীতে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আমরা নাঈমের লাশ দেখতে পাই। ’
 
এদিকে একই ঘটনায় নিখোঁজ যুবদল নেতা কালীগঞ্জের চৈতারপাড়া গ্রামের জামিলের সন্ধানে শনিবার সকালেই শীতলক্ষ্যায় নামেন ডুবুরিরা।

নদীর তীরে শত শত লোক এসে জড়ো হতে থাকেন।

নিখোঁজ যুবদল নেতা জামিলের পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে ডুবুরি নিয়ে নদীতে সন্ধান চালায়।

বিকেলে ৫টার দিকে ডুবুরিরা যুবদল নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ নাঈমের লাশ উদ্ধার করেন।
কিন্তু জামিল হোসেনের লাশের সন্ধান পাননি তারা।

৮টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ করে ঢাকায় চলে যান ডুবুরিরা।

ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের স্টেশন অফিসার আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘নদীর পানিতে লাশ ডুবে থাকলে ২৪ ঘণ্টা পর তা এমনিতেই ভেসে উঠবে। ’
 
এদিকে কালীগঞ্জে যুবদল নেতার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার যুবদলের সম্মেলনে যাওয়ার পথে যুবলীগের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত আরো লাশ পাওয়া যেতে পারে। ’

অপরদিকে কালীগঞ্জে যুবদল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও নিখোঁজদের ব্যাপারে থানায় অভিযোগ ও জিডি করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে না পেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই খোরশেদ আলমের কাছে অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি নিয়ে যাই। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানান। ’

তবে এসআই খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। ’

এছাড়া কালীগঞ্জে যুবদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, জাসাস কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. সোহরাব উদ্দিন, বিএনপি নেতা ডা. মাজহারুল আলম, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্স, সাখাওয়াৎ হোসেন সবুজ, সৈয়দ হাসান সোহেল, হুমায়ুন কবীর রাজু, যুবদল নেতা সেলিম রানাসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা।

তবে  যুবলীগ নেতারা ওই হামলার ব্যাপারে মুখ খুলছেন না।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।