ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ১৪ মে লন্ডন যাচ্ছেন। সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দেবেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎপর্বকে ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবেই দেখতে চাইছে বিএনপি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে খালেদার ৬ দিনের সফরসূচি মোটামুটি চূড়ান্ত হলেও হিলারির সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে ঢাকায় বিএনপির সংশ্লিষ্ট দু’জন নেতা (সাবেক সরকারি চাকুরে) ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত দেনদরবার করছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, হিলারির সঙ্গে সাক্ষাৎ না হলেও যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের কয়েক কংগ্রেসম্যানসহ বাংলাদেশ ককাসের সঙ্গে খালেদার বৈঠক অনেকটাই নিশ্চিত।
চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে যুক্তরাজ্যে পুত্র-পুত্রবধূ-নাতনির সঙ্গে সময় কাটাবেন খালেদা জিয়া।
এছাড়া নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশও করবেন তিনি।
১৫ মে লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি প্রধান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, ২১ মে নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি বিমানবন্দরে নামবেন খালেদা জিয়া।
পরদিন নিউইয়র্কে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
২৩ মে সড়কপথে ওয়াশিংটন ডিসি যাবেন খালেদা জিয়া।
এদিকে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান এম ওসমান ফারুক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শমসের মোবিন চৌধুরী, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, শফিক রেহমান, মোসাদ্দেক আলী ফালু, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শরাফত হোসেন সপু, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশ নিতে খালেদা জিয়া সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১১