ঢাকা: একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ দুই নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মো. মুজাহিদকে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাইব্যুনালকে ধানমন্ডির (রোড: ১৬ , বাড়ি নং: ২০/এ) একটি বাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল দুই জামায়াত নেতাকে কারাগারে মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দিয়েছিলেন। পরে জেল কর্তৃপক্ষ ট্রাইব্যুনালকে জানায় ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা অনুয়ায়ী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলাদা কক্ষ তারা তৈরি করতে পারেননি। তাদের সেখানে তা করার মতো কোনো সুযোগও নেই। তাই তারা স্থান পরিবর্তনের আবেদন করেন।
আদেশ পরিবর্তনে তদন্ত সংস্থার আবেদনে বুধবার `সেফ হোমে` জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন নিজামুল হক নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল।
অপর দিকে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের আইনজীবী মুন্সি আহসান কবির বুধবার আরও একটি আবেদন করেছেন। তিনি তাদের জিজ্গাসাবাদের সময় সেখানে একজন ডাক্তার ও নার্স রাখার আবেদন করেন।
ওই আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিজামুল হক প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে জিজ্ঞেস করেন তাদের তদন্ত সংস্থার নির্ধারিত সেফ হোমটি তিনি দেখেছেন কি-না। তখন হায়দার আলী বলেন, তিনি দেখেননি তবে তাদের প্রধান কৌসুঁলি দেখেছেন।
তখন ট্রাইব্যুনাল প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুকে জিজ্ঞেস করেন সেফ হোমের নিরাপত্তর বিষয়ে কোনো প্রশ্ন আছে কি-না; যেহেতু আসামিপক্ষ আপত্তি তুলেছেন।
তখন টিপু বলেন, ‘আমি শুধু একটাই কথা বলব, ইট ইজ সেফ। ’
দু পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল মতিউর রহমান নিজামি এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে পৃথক ভাবে এক দিন করে তদন্ত সংস্থার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
ট্রাইব্যুনাল জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সকাল ১০টায় অভিযুক্তদের পৌঁছে দিতে এবং বিকেল ৫টায় কারাগারে ফেরত নিতে।
সেই সঙ্গে অভিযুক্ত আইনজীবীদের আবেদন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিরাপত্তা হেফাজতে একজন ডাক্তার এবং অভিযুক্তদের একজন করে আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তবে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুয়ায়ী জিজ্ঞাসাবাদের সময় আইনজীবী ও ডাক্তার পাশের কক্ষে থাকবেন। যেন তারা জিজ্ঞাসাবাদের সময় কিছু দেখতে পারেন। কিন্তু শুনতে পারবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১