ঢাকা: প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মুক্তাঙ্গণে ঢাকা জেলা ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তারেক ও কোকোর মামলায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান ও ঢাকা জেলা ছাত্রদল সভাপতি রেজাউল কবির পলের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ বছরের শেষ দিন। আমরা ভেবেছিলাম দেশের মানুষ অতীতের গ্লানি, পরাজয়, দুঃখ-কষ্ট, বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরের নতুন দিন শুরু করবে। কিন্তু আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কী এক জিঘাংসা কাজ করে, তিনি কারো ভালো দেখতে চান না। প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে তিনি দেশকে এক দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। ’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তারেক-কোকোর মামলার ওপর আপনি হস্তক্ষেপে করছেন। কিন্তু দেশের মানুষ আজ জানতে চায়, আপনার বিরুদ্ধে যে আটারোটি মামলা হয়েছিল তা গেল কোথায়। এই মামলাগুলোর মধ্যে চাঁদাবাজির চেক হস্তান্তরের এভিডেন্স পর্যন্ত আছে। এই মামলার খবর জাতি জানতে চায়। ’
তিনি বলেন, ‘সাড়ে ছ’হাজার মামলা প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে খুনের মামলা, ধর্ষণের মামলা, চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। অথচ তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের মামলার ওপর আপনি হস্তক্ষেপ করছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এই মুক্তাঙ্গণে বিক্ষোভ-সমাবেশে কোনো লাভ হবে না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ’
ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির জুয়েলের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এমপি, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় : ১৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১