ঢাকা: দেশে প্রতিহিংসা ও বিবাদের রাজনীতি চলতে থাকলে বিরোধী দল ও সরকারের মধ্যে দূরত্ব আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ভাসানি মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনম এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তার মুক্তির দাবিতে ঢাকাস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা মিলন মুক্তি পেশাজীবী পরিষদ এ সভা আয়োজন করে।
মিলনের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করে ড. মোশাররফ বলেন, ‘অন্যথায় সকল বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধ্য করা হবে। ’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেবিনেট মিটিংয়ে তারেক-কোকোর মামলা সম্পর্কে বিচার বিভাগকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা তিনি দিতে পারেন না। ’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করতেই একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে মিলনকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তার নামে ২২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। একটি মামলায় জামিন পেলেই তাকে অন্য মামলা দিয়ে আটক করা হয়। ’
ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি, মোবাইল চুরি, চাঁদাবাজির মতো কাজ মিলন করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিলন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নকলমুক্ত পরীক্ষা ও জাটকা নিধন বন্ধে যে অবদান রেখেছেন তাতে তিনি সফল। ’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘সরকার সুপ্রিম কোর্টের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সংবিধান সংশোধন করে এখন খসড়া সংবিধান লুকিয়ে রেখেছে। এই খসড়া এখন কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যেও ষড়যন্ত্র আছে। সংবিধানের দাঁড়ি-কমাও পরিবর্তন করতে হলে তা সংসদে করতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর রিপোর্ট দিয়েছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- হচ্ছে, বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন,তাদের নাকি তথ্যের দুর্বলতা আছে। ’
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জালাল আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, এহসানুল হক মিলনের স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১১