ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

হানিফের অভিযোগ

সাংবিধানিক পরিষদের দাবি করে বিএনপি সংবিধানের অবমাননা করেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১১
সাংবিধানিক পরিষদের দাবি করে বিএনপি সংবিধানের অবমাননা করেছে

ঢাকা: জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সাংবিধানিক পরিষদ গঠনের দাবি করে বিএনপি সংবিধান অবমাননা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

বিএনপি এখনও সংবিধান সংশোধনের আলোচনায় আসতে পারে বলেও মন্তব্য করে হানিফ বলেন, যারা আসবে না তাদের বাদ দিয়েই সংবিধান সংশোধন কার্যকর করা হবে।



শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানম-ির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাহবুব উল আলম হানিফ।

তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি সংবিধান মানে না, সংবিধানে বিশ্বাস করে না। তারা অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধানকে কাটা ছেঁড়া করেছে। এখন আবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদকে ভেঙ্গে দিয়ে সাংবিধানিক পরিষদ গঠনের দাবি করছে। ’

বিএনপির এ দাবির মধ্য দিয়ে দলটির ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেছেন হানিফ।

তিনি আরও বলেন, এ দাবির মধ্য দিয়ে বিএনপি ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ অর্থাৎ ক্ষমতার মালিক জনগণকে অপমান করেছে।

তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন কমিটিতে তাদের নাম দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিলো, দেয়নি। কমিটির কাছে মতামত দেওয়ার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো তারা আসেনি। এখন তারা পল্টনে সংবিধান নিয়ে কথা বলছে। তারা সংসদে এসে কমিটির কাছে তাদের বক্তব্য দিতে পারতো। আসলে সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলুক এটা বিএনপি চায় না। এ জন্য তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।  

এ সময় তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিরও অভিযোগ আনেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ এতো দিন মধ্যবর্তী নির্বাচন, আওয়ামী লীগ সবক্ষেত্রে ব্যর্থ, অবৈধ সরকার, অবৈধ সরকারের বিচার হবে ইত্যাদি বলে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। এতে ব্যর্থ হয়ে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সাংবিধানিক পরিষদ গঠনের আরেকটি আজগুবি
মন্তব্য করেছে।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক-কোকোসহ তার পরিবারের ডজনখানেক সদস্য এবং বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতাদের দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার হীন উদ্দেশ্যেই তারা এ অপরাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। ’

এ সময় ড. ইউনূস প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ইউনূসকে আদালতে নেয়নি। উনি নিজেই আদালতে গেছেন। কিন্তু রায় তার বিপক্ষে গেছে। কাকে গ্রামীণ ব্যংকের চেয়ারম্যান বা এমডি বানানো হবে বা এ দাবিতে কেউ আন্দোলন করলে সেটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে। এটা আওয়ামী লীগের বিষয় না। ’

সংবাদ সম্মেলনে হানিফ বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের যৌক্তিক দাবি করার আগে বিএনপিকে আর একবার আয়নায় নিজের চেহারা দেখার কথা বলছি।

তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু রাজনীতির নামে অপরাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে দুর্ভোগে নিক্ষেপ করা ও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন কোনো পথকে অবশ্যই দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বিএম মোজাম্মেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফরিদুন নাহার লাইলি, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সদস্য সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।