ঢাকা: তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমানের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিচার বিভাগের ওপর প্রভাব বিস্তারের অশুভ চেষ্টা চালাচ্ছেন। মন্ত্রী পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিচার বিভাগের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার বিঘ্ন সৃষ্টির অপচেষ্টা।
রোববার সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ হলে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সমাবেশে আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
রফিকুল ইসলাম মিয়া আরও বলেন, বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, দুদক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং হস্তক্ষেপে তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য মামলা দায়ের করেছে।
ব্যারিস্টার রাফিক বলেন, সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে সংসদে আলোচনা করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর একে একে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করার কাজে লিপ্ত রয়েছে। এসরকার প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে খুন রাহাজানিসহ ৭ হাজার ৬৩টি মামলা প্রত্যাহার করেছে। বিচার বিভাগের ওপর এই হস্তক্ষেপের ফলে আগামী ২০ এপ্রিল সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সামাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব মাহাবুব উদ্দিন খোকন, নিতাই রায় চৌধুরীসহ আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১১