ঢাকা: ‘কার্যত বাজারে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা, অসাধু ব্যবসায়ী ও কতিপয় আমলার সিন্ডিকেট।
এ অভিযোগ করেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আয়োজিত ‘গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংকট ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোচ্চার হোন’ শীর্ষক সমাবেশে অংশ নেওয়া বক্তারা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাম মোর্চার সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী বলেন, ‘এ সরকার দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ভয়াবহ উর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, বাসাভাড়া, গ্যাস, পানি ও যানজটের সমস্যায় জনগণের দু:খ-কষ্ট চরমে উঠেছে। ’
তিনি বলেন, ‘সব কিছুর দাম বাড়া সত্ত্বেও যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিক তাদের ন্যায্য মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে তখন তাদের উপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ তাদের মেরে ফেলে। ’
দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে না নিয়ে আসতে পারলে সরকারকে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ওয়ার্কার্স পার্টির (পুনর্গঠিত) সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার ট্রানজিট, করিডোর ও স্থলবন্দর ভারতের হাতে এক প্রকার তুলে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে পানিসহ নানা সমস্যার সমাধান করছে না। ’
তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে যারা কেলেঙ্কারি করে হাজার হাজার কোটি টাকা হতিয়ে নিচ্ছে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। এসব দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত না করে সরকার পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে। ’
তিনি অতিসত্ত্বর শেয়ার বাজার কারসাজিতে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
বাসদ ঢাকা মহানগরীর সদস্য কমরেড খালিকুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট দেশে যে শাসন চালাচ্ছে তা ধনিক শ্রেণীর শাসন। এখানে কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুরের কোন অধিকার নেই। ’
তিনি এই সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামার জন্য প্রন্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
কমরেড মইনুদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা টিপু বিশ্বাস, কমরেড মাহবুব হোসেন, বাসদ নেতা কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ।
এর আগে পলাশী মোড় থেকে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার একটি বিক্ষোভ মিছিল নীলক্ষেতে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১১