ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের আহ্বান মির্জা ফখরুলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১১
মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের আহ্বান মির্জা ফখরুলের

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধূম্রজাল সৃষ্টি না করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। তার ভাষায়, এদেশের মানুষ চাপিয়ে দেওয়া সংবিধান মেনে নেবে না।



সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত “তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের ষড়যন্ত্র, বাস্তবতা ও করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও আল্লাহর নাম থাকবে কি থাকবে না সে দায়িত্ব এখন সুরঞ্জিত বাবুর উপরে পড়েছে। তিনি (সুরঞ্জিত) যেভাবে কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে আগামীতে দেশ একটি সংকটের দিকে যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতির প্রয়োজনে বিএনপি কখনো পিছিয়ে থাকেনি। দীর্ঘ নয় বছর খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। বিএনপি ও দলের নেত্রী দেশের মানুষের সঙ্গে কখনো বেইমানি করেনি করবেও না।

সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যদি আরও বেশি দিন ক্ষমতায় থাকে তাতে দেশের ক্ষতি হবে। তাই আমাদের নেত্রী ডাক দিয়েছেন মধ্যবর্তী নির্বাচনের। সরকারের উচিত এখনই পদত্যাগ করে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে আন্দোলন করেছি। আমরা মনে করেছিলাম দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গণতন্ত্রের জন্য আর লড়াই করতে হবে না। কিন্তু স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও আমরা স্বাধীনতা পাইনি। এখনো আমাদের গণন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ একেক সময় একেক কথা বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এক সময় আন্দোলন করেছে। এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে। আগামী শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে একটি সরকার তৈরি করার জন্য সকল গণতান্ত্রির শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বাংলাদেশের বিষয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সে বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বলছে এখন বাংলাদেশে বিরোধী দল বিচার বিভাগের কাছে ন্যায় বিচার পাচ্ছে না।

শফিউল আলম প্রধান বলেন, আমাদের দেশের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তাতে আমাদের কথা বলতে লজ্জা হয়। পাকিস্তানের ঘাতকেরা যে আঘাত করেছিলো, তার চেয়ে বেশি আঘাত করা হয়েছে শেয়ারবাজার থেকে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে।

সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি মেজর (অব.) মেহবুব রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, আবদুল হাই সিকদার, বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. আবদুল লতিফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।