ঢাকা:‘রুখবো শিক্ষা বৈষম্য,সাম্প্রদায়িক-সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন,গড়বোই স্বদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ‘ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৩৬তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ৩দিন ব্যাপী (১৫,১৬,১৭ ফেব্রুয়ারি) এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সকল ঐতিহাসিক আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের গৌরবময় ভূমিকা ছিলো। বিশেষ করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়ন প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছিলো।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে সর্বোপরি শিক্ষার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্র ইউনিয়ন তার ইতিহাস নির্দেশিত ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম শুভ বলেন,সভ্যতার ইতিহাস হলো লড়াই সংগ্রামের। আর এই লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমেই শিক্ষা লাভের ন্যায্য অধিকার ছাত্র সমাজকে আদায় করে নিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার এবং সকলের জন্য বৈষম্যহীন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি জোরোলো দাবি জানান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক বলেন,আজকে আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে যে বৈষম্য দেখছি তা ,নতুন কিছু নয়। সময়ের সাথে সাথে বৈষম্যের সূচক ও মাত্রাগুলোর পরিবর্তন ঘটেছে মাত্র্। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে যে সচেতনতার বীজ জন্মাচ্ছে তাকে কাজে লাগিয়ে দালাল ও মুনাফালোভী শিক্ষা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে সকলের প্রতি তিনি আহবান জানান ।
উদ্বোধনী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন,সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম নাদিম,ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর মইন, সম্মেলন প্রস্তুত পরিষদের আন্তর্জাতিক ও মিডিয়া উপ-পরিষদের আহ্বায়ক ইউনা ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি র্যালী অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে টিএসসি,দোয়েল চত্বর,শিক্ষা অধিকার চত্বর, পুরানা পল্টন ও জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।
আগামী ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি সংগঠনটির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪