ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিদ্রোহীদের থামাতে শেষ চেষ্টা চালাচ্ছে আ.লীগ

শামীম খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১১
বিদ্রোহীদের থামাতে শেষ চেষ্টা চালাচ্ছে আ.লীগ

ঢাকা: সোমবার ঢাকা বিভাগ এবং মঙ্গলবার সিলেট ও চট্রগ্রাম বিভাগের পৌরসভা নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের থামানোর শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচেছ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

রোববার দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।

দুপুরে প্রাধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। মূলত জাতীয় সংসদের দু’টি আসনের উপনির্বাচন নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

তারা আলাদা আলাদাভাবে বিভাগগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

রোববারও বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থীসহ কয়েকজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ দলের যেসব নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তাদেরও সতর্ক  করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন এবং বিএম মোজাম্মেল হক বৈঠক করেন।

এ বৈঠকেও নেতারা সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। বিদ্রোহী প্রার্থীসহ তাদের পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন তাদেরও সতর্ক করে দেন।
 
সিলেট বিভাগের ১৬টি পৌরসভার সব ক’টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। তবে এদের  রোববারও সতর্ক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি পৌরসভার বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহউন্দিন সিরাজ রোববার আবারো সরাসরি কথা বলেছেন।

এদিকে মৌলভীবাজার জেলার ৫টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষ নেওয়ায় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদকে কেন্দ্র থেকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এইচটি ইমাম ও মাহবুব-উল-আলম হানিফ তার সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও সূত্র জানায়।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি শ্রীমঙ্গলের বিএনপি প্রার্থী আব্দুল আহাদ, মৌলভীবাজার সদরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নাহিদ, কুলাউড়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী শফিউল আজম ফিরোজের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।    

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বিদ্রোহী প্রার্থী নায়ার কবির ও মাহমুদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর সদরের বিদ্রোহী প্রার্থী মেজবাহউদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল করিম ও জেলা কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মাসুম, লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসেরকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad